শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০৩ জুন, ২০২০, ০৯:১৯ সকাল
আপডেট : ০৩ জুন, ২০২০, ০৯:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ‘বিলের জন্য’ করোনা রোগী আটকা

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] যেসব বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা হচ্ছে তার মধ্যে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল অন্যতম। এ হাসপাতালটির বিরুদ্ধে বিলের জন্য এক করোনা রোগীকে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

[৩] সাইফুল ইসলাম নামের এক রোগী অভিযোগ করেছেন গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে করোনাভাইরাস থেকে থেকে সেরে ওঠার পর চিকিৎসকের ছাড়পত্র মিললেও বিলের জন্য হাসপাতাল তাকে ছাড়ছে না। বলে অভিযোগ করেছেন সাইফুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তি।

[৪] অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিব হাবিবুর রহমান বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই, কেননা এই বিল সরকার মেটাবে।

[৫] এ বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ‘কোভিড ডেডিকেটেড’ হাসপাতাল হিসেবে আর নেই।

[৬] গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাইফুল নামে ওই রোগী আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালেই আটকে ছিলেন। গত ২৩ মে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছিলেন মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী সাইফুল।

[৭] সাইফুল ইসলাম জানান, গত ২১ মে একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। হৃদস্পন্দন বেশি থাকায় ২৩ মে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা ফ্রি করে দিয়েছে সরকার, এটা জেনে এখানে ভর্তি হয়েছিলাম, এখন অনেক বেশি টাকা দাবি করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’

[৮] সাইফুল ইসলাম জানান, ভর্তি হওয়ার পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তার রক্তের দুটি পরীক্ষা করেছে, তিনটি এক্স-রে করেছে। আর হাসপাতাল থেকে শুধু নাপা ট্যাবলেট সরবরাহ করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমার কোনো অক্সিজেনেরও প্রয়োজন হয় নাই। কোনো অপারেশন লাগে নাই। কিন্তু এত টাকা বিল করে দিয়েছে। আমি এত টাকা এখন কোথা থেকে দেব।’

[৯] সাইফুল ইসলামের বিলে গেছে, ২ জুন পর্যন্ত চিকিৎসকের বিল ১৮ হাজার ৭০০ টাকা, হাসপাতাল বিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৭০ টাকা, পরীক্ষার বিল ১৯ হাজার ৪৭৫ টাকা, ওষুধের বিল ৫ হাজার টাকা। আর এর সঙ্গে সার্ভিস চার্জ যোগ হয়েছে ১২ হাজার ৯০৩ টাকা।

[১০] সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসক তাকে ছাড়তপত্র দেন। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় তাকে হাসপাতাল থেকে বের হতে দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘আমার তিনটার সময় যাওয়ার কথা। এখনও (রাত সাড়ে ১০টা) যেতে পারিনি। ওদের অ্যাডমিনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে হাসপাতাল ছাড়তে হলে টাকা দিতে হবে।’

[১১] আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক এহতেশামুল হক জানান, মে মাসে সরকারের সঙ্গে তাদের চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে ওই রোগীকে কীভাবে ছাড় দেওয়া যায়, তারা সে ব্যবস্থা করছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি হাসপাতালে বলে দিচ্ছি। আমাদের পক্ষ থেকে ওই রোগীর জন্য সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়া হবে।’

[১২] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘কোভিড-১৯ নির্ধারিত হাসপাতালগুলোর বিল সরকার দেবে। এখানে রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো কমপ্লিটলি ফ্রি। আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালেও চিকিৎসা ফ্রি। যখনই হাসপাতালটা সরকার নিল, তখন তো আনোয়ার খানকে টাকাটা সরকার দেবে। রোগীর ট্রিটমেন্ট হবে ফ্রি।’

[১৩] উল্লেখ্য, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক। ইত্তেফাক, আমাদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়