সিরাজুল ইসলাম, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) ঃ [২] ঢাকা প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং ইন্ডাষ্ট্রিজ নামের প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এ দখলদারিত্বের অভিযোগ ওঠেছে। সেই সঙ্গে হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কালভার্টটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
[৩] স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বায়রা মৌজায় আরএস ৫৭২৮ ও ৫৭২৯ দাগের ৭৫ শতাংশ জমি গত ৮ মাস আগে ক্রয় করে ঢাকা প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং ইন্ডাষ্ট্রিজ নামের প্রতিষ্ঠানটি। তার পশ্চিম পাশ ঘেঁষে রাস্তা সংলগ্ন প্রবাহমান ১৬ ফুট নয়নজলি (খাল) দখল করে মাটি ভরাট ও বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করে ওই প্রতিষ্ঠানটি। এ কাজের সাথে যোগ দিয়েছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী দালাল চক্র। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বায়রার চালিতাতলার চক (পানু বাবুর বন্ধ) ও কাশেম দেওয়ানের চকের পানি ওই নয়নজলি দিয়েই প্রবাহিত হতো। পানি চলাচলের জন্য গাড়াদিয়া বাসষ্ট্যান্ডের পূর্বপাশে আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়।
[৪] সরেজমিন মঙ্গলবার (২জুন) দেখা গেছে, কালভার্টটির উত্তর পাশে কিছু অংশ বাদ রেখে নয়নজলি খালের পুরো অংশ মাটি ফেলে ভরাট করে উভয়পাশেই বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। কাজের শুরুতে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে নিচ দিয়ে পানি চলাচলের জন্য শান্তনা স্বরুপ নামে মাত্র দু’ফুট পরিমাণ চুঙ্গি দেয়া হয়।
[৫] বায়রা গ্রামের আরজ আলী (৪৫),আফছার উদ্দিন(৬০), সেলিম হোসেন (৫২),ইয়ারুসহ (৩৫) অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, কালভার্টের উত্তর পাশ ও নয়নজলি খাল ভরাট হওয়ায় বৃষ্টির মওসুমে পুরো চকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। পানি বের হতে না পারলে ফসলাদির ব্যাপক ক্ষতি হবে। তারা আরো বলেন, এ ভরাটের কারণে বর্ষা মওসুমেও চালিতাতলা চকে পানি ঢুকতে পারবে না। এতে ফসল উৎপাদন ও ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন তারা। বায়রা ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারি কর্মকর্তা ঝিলন খান বলেন, সরকারি খাল দখল করে মাটি ভরাট ও দেয়াল নির্মাণের কাজে আমি একাধিকবার বাধা দিয়েছি। তারা আমাকে কোনো গুরুত্বই দেননি। পরে আমি এসিল্যান্ড স্যারকে জানিয়েছি। নয়নজলি (খাল) ব্যক্তিগত জায়গায় হলেও সেটা কোনোভাবেই দখল করা যাবে না বলেও তিনি জানান।
[৬] ঢাকা প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সাইট ইনচার্জ বাবুর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
[৭] এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহের নিগার সুলতানা বলেন, বিষয়টি সরেজমিন দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ