আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] এর আগে কোনও বেসরকারী কোম্পানির রকেটে মহাকাশ অভিযান পরিচালনা করেনি নাসা। ২০১১ সালের পর প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের মাটি থেকে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ঘটনা ঘটলো। নিজেদের নভোযান না থাকায় মধ্যবর্তী সময়ে কাজাখাস্তান থেকে অভিযাত্রী পাঠাতো সংস্থাটি। সিএনএন, স্পেসএক্স, সিএনবিসি
[৩] এই মিশনটির নাম দেয়া হয়েছে ডেমো-২। এটিকে মনে করা হচ্ছে উদ্যোক্তা এলন মাস্কের তৈরি কোম্পানিটির এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় মাইলফলক।
[৪] বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ১টা ২৫ মিনিটে মহাকাশের পথে রওয়ানা দেয় ফ্যালকন-৯ রকেটটি। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বায়ুমণ্ডল ভেদ করেন দুই মহাকাশচারী ডহ হারলে এবং বব বেনকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই রকেট বুস্টারের প্রথম খণ্ড বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং দুই মহাকাশচারীর ক্যাপসুল অরবিটাল ভেলোসিটি অর্জন করে।
[৫] উড্ডয়নের ঠিক আগ মুহূর্তে মহাকাশচারীরা মিশন কন্ট্রোলকে বলেন, ‘এই অসাধারণ উদ্যোগ হতে পারাটা অনেক বড় সম্মান। আমরা কক্ষপথ থেকে আপনাদের সঙ্গে কথা বলবো।’
[৬] ২০১১ সাল পর্যন্ত কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেস শাটলের মাধ্যমে মহাকাশে এবং আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে মানুষ পাঠাতো নাসা। কিন্তু এগুলোকে অবসরে পাঠানোয় তাদের নিজস্ব কোনও বিকল্প ছিলো না। এবার একটি বেসরকারী কোম্পানির ক্যাপসুল এবং রকেট ব্যবহার করে আবারও মহাকাশে মানুষ গেলো যুক্তরাষ্ট্রের মাটি থেকে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব