আন্তর্জাতিক ডেস্ক : [২] হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় ডাক্তার থেকে সিস্টাররা, সবাইকে দেখা যায় শিশুটিকে গলায় মালা পড়াতে। হাতে গোলাপ ফুল দিতে। কিন্তু কেন সবাই গলায় মালা পড়াচ্ছে ? না অবুঝ শিশুমন তা আর অতশত বুঝে উঠতে পারেনি। পারবেই বা কী করে ? ওর বয়েস যে মাত্র ৪ বছর! কিন্তু এই ছোট্ট বয়সেই করোনার মারণ থাবাকে পরাস্ত করেছে সে।
[৩] শিশুটি রায়গঞ্জ কোভিড হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিল। আজ শুক্রবার (২৯ মে) হাতে ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে মায়ের হাত ধরে বাড়ি ফেরে এই খুদে। গলায় ফুলের মালা, হাতে গেলাপ। কলকাতার ইটাহার থানা এলাকায় বাড়ি ওই শিশুটির। জানা গিয়েছে, স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে নিয়ে হরিয়ানায় শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন শিশুর বাবা।
[৪] সেখান থেকে ইটাহারে ফেরার পর পরিবারের ৩ সদস্যের লালরসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে ১৪ দিন বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। ২৩ মে সকালে রিপোর্ট আসে ৩ জনের। রিপোর্ট আসতেই দেখা যায়, ওই শিশুর মা ও বাবার রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও, শিশুটি কোভিড-১৯ পজিটিভ। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে শিশুটি।
[৫] এরপরই ওই শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য রায়গঞ্জ কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একসপ্তাহ সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিল ওই শিশুটি। আজ হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় ওই শিশুটিকে। করোনা জয় করে ফেরার পর আক্রান্ত শিশুর মা বলেন, ৭ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ শুক্রবার ছেলেকে পুরোপুরি সুস্থ করে নিয়ে বাড়ি ফিরছি।
[৬]সঠিক চিকিৎসা হলে প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে যাবেন বললেন, কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক দিলীপ কুমার গুপ্তা। তিনি জানান দিল্লি থেকে ফেরার পর ওই শিশুর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তবে চিকিৎসার পর এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ । বাড়ি গিয়ে আপাতত আর ৭ দিন ওই শিশুকে কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দেওয়া দিয়েছেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
(ছবিটি-প্রতিকী)