সুজিৎ নন্দী : [২] আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার মার্চের শেষ সপ্তাহে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মৃত্যু ও সংক্রমণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছালেও সার্বিক দিক বিবেচনা করে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। জনগণের জীবনের পাশাপাশি জীবিকার গতি সচল রাখতে শেখ হাসিনার সরকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে সাধারণ ছুটি না বাড়ানোর এবং গণপরিবহন চালুর বিষয়ে শর্তসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
[২] আজ গণপরিবহন চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের এক মতবিনিময় সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী কাদের এসব কথা বলেন। সংসদ ভবনস্থ সরকারি বাসভবন থেকে ওবায়দুল কাদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভার সঙ্গে সংযুক্ত হন।
[৩] পরিবহন মালিক শ্রমিকদের উদ্দেশ তিনি বলেন, লাখ লাখ শ্রমিক, মালিকের জীবনের সঙ্গে পরিবহনের একটি সম্পর্ক রয়েছে। শেখ হাসিনা একজন মানবিক মানুষ, তার মানবিকতা ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রশ্নাতীত।
[৪] অনুরোধ করবো,আপনারা যারা পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তারা চলমান সংকট মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবেন। সামান্য ভুল বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। আপনারা কিছু শর্ত বা নীতিমালা ঠিক করুন, কীভাবে যাত্রী সেবা দেওয়া যায়, তার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যায়।
[৫] গণপরিবহন করোনা সংক্রমণের জন্য ভয়ানক হতে পারে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, এখানে শ্রমিক, চালক, যাত্রী, পথচারী অনেকেই সংশ্লিষ্ট। একজন গাড়িতে উঠলে চেইন রি-অ্যাকশনে অনেককে সংক্রমিত করতে পারে। তাই ঢালাওভাবে নয়, নিয়ন্ত্রিত উপায়ে সীমিত পরিসরে যাত্রী সেবা প্রদানে আপনারা প্রতিপালনীয় শর্তগুলো ঠিক করুন। শুধু ঠিক করলেই হবে না, কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। এর পাশাপাশি দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
[৬] তিনি আরও বলেন, টার্মিনালে চালক, সহকারী ও শ্রমিকদের কাউন্সেলিং করুন। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন গাড়ি চালুর আগে। পুলিশ প্রশাসন, বিআরটিএ ও মন্ত্রণালয় আপনাদের সহযোগিতা দেবে। পাশাপাশি নিয়ম অমান্য করলেও শাস্তির বিধান থাকবে জনস্বার্থে। বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্ট সক্রিয় থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :