আব্দুল্লাহ মামুন : [২] বিষাক্ত স্পিরিট পানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়।
[৩] নিহতরা হলেন- বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নুর ইসলাম, রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের সরোয়ার হোসেন ও মোস্তফা কামাল। এদের মধ্যে মঙ্গলবার সকালে সরোয়ার ও মোস্তফা কামাল এবং বুধবার সকালে নুর ইসলাম মারা যান।
[৪] ঈদের আনন্দে গত সোমবার শ্যামপুর বাজার এলাকায় নেশাজাতীয় নিষিদ্ধ স্পিরিট পান করেন কয়েকজন এবং তারা প্রায় আসর বসায় সেখানে। একপর্যায়ে তারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তারা। মঙ্গলবার বিকেলে মোস্তফা ও সরোয়ারের মরদেহ তড়িঘড়ি করে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় ।
[৪] রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, নিহত দুইজনের বাড়ি চন্দনপাট ইউনিয়নের খইল্লাপাড়া ও পুটিমারী এলাকায় এবং একজনের বাড়ি বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে।
[৫] রংপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, নুর ইসলামের মৃত্যুর পর বিষয়টি জানাজানি হয়। নেশা জাতীয় স্পিরিট পান করে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নেশার উৎস এবং সরবরাহকারীকে খুঁজে বের করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
[৬] এর আগে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাটে বিষাক্ত মদ পানে সোমবার ও মঙ্গলবার দুইদিনে ছয়জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও সাতজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাড়িতে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।