ইমরুল শাহেদ : [২] ইস্যুভিত্তিক চলচ্চিত্রের নির্মাতা অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড বরাবরই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে থাকেন। তিনি এবার শুরু করেছেন ‘কোভিড নাইনটিন ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি চলচ্চিত্র। তার প্রতিটি কাজের মধ্যেই একটা সামাজিক অঙ্গীকার থাকে।
[৩] একবার কথায় কথায় বলেছিলেন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই তার এই সৃজনশীল কাজগুলো তিনি করে থাকেন। যেহেতু তিনি মৌলিক গল্প নিয়ে কাজ করেন সেহেতু তার প্রতিটি কাজেই পরিস্থিতি, পরিবেশ ও সমকালীন জীবনের একটা ছায়া প্রতিফলিত হয়। করোনাভাইরাস গ্রুপের নবম সদস্য কোভিড-১৯ চীনের উহান থেকে উৎপত্তি হয়ে বিশ্বের ২১৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রাণঘাতী সংক্রামক মহামারীতে বিশ্বে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। সংক্রমিত হয়েছে লাখো লাখো মানুষ।
[৪] এতে সমাজ জীবনে নেমে এসেছে একটা বড় ধরনের অপ্রতিহত স্থবিরতা, তেমনি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও নেমে এসেছে বন্ধ্যাত্ব। দরিদ্র, নিরন্ন, অসহায় মানুষগুলো ক্ষুধায় কাতরাচ্ছে। কবে এই মহামারী যাবে এবং জীবনে ফিরে আসবে স্বাভাবিকতা তা নিয়ে বিশ্ববাসী দিকবিদিক ছুটছে। এ নিয়ে আমাদের দেশও মহামারীর ছোবল থেকে মুক্তি পায়নি। এমন একটা অস্থির পরিস্থিতিতে জাতীয় জীবনের আলোকে বিপন্ন বিশ্বকে নিয়ে এই ছবিটি নির্মাণ করছেন তিনি। এর আগে তিনি একইভাবে জাতীয় সমস্যা রোহিঙ্গাদের নিয়ে নির্মাণ করেছেন রোহিঙ্গা ছবিটি। সেটি এখন মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। যদি করোনাভাইসের সমস্যা তৈরি না হতো তাহলে এতোদিনে হয়তো ছবিটি মুক্তিও পেয়ে যেত। এই ছবিটির গল্প নিয়ে এখনই তিনি কিছু বলতে চাননি। তবে তার ইঙ্গিত থেকে বুঝা গেল ছবিটিতে সামাজিক জীবনের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক - সব ধরনের উপাদানই থাকবে।
[৫] কারা থাকছেন এ ছবিতে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আগে আমি শিল্পী ছাড়া কাজগুলো করব। শিল্পী নির্বাচন করব একটু পরে।’ তার কথা থেকে বুঝা গেল, রোহিঙ্গা টিমের কাউকে হয়তো এখানে পাওয়া যাবে না। তবে কেউ কেউ হয়তো থাকতেও পারেন। তিনি ছবির নামটি ইংরেজীতে রাখলেও এর একটা বাংলা নামও থাকবে। সেটা ঠিক করবেন পরে।
আপনার মতামত লিখুন :