আসাদুজ্জামান বাবুল: [২] গোপালগঞ্জে এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ১৩০ জন। আক্রান্ত ব্যাক্তিদের মধ্যে টুঙ্গিপাড়ায় ৪ জন ও কোটালীপাড়ায় ৩জন। এরা সকলেই ঢাকা ফেরৎ বলে জানিয়েছেন সিভিলসার্জন ডা, নিয়াজ মোহম্মাদ।
[৩] গ্রামবাসী বলছেন, করোনা আক্রান্তদের বড়ো একটি অংশ ঢাকা এবং ঢাকার আশপাশের বাসিন্দা। সেখান থেকে কারো গ্রামে আসা মানেই আতঙ্ক। কেননা এখনো পর্যন্ত বেশির ভাগ গ্রাম করোনা মুক্ত। তাছাড়া ঢাকা থেকে কেউ ঈদ করতে গ্রামে আসলেও হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না। এতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকা এবং তার আশপাশ এলাকায় যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে, তখন ঐসব এলাকায় কর্মরত লোকজন করোনার ভয়ে পালিয়ে মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, ট্রাক, মিনিট্রাক বা হেঁটেও আসছে নিজ গ্রামে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামগঞ্জে।
[৪] এমন চিত্র এখন দেশের প্রতিটি এলাকায়। ঢাকাফেরতরা অযাচিত ঘোরাঘুরিও করে বেড়াচ্ছে। টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে সন্তানসহ আসা দম্পত্তিকে এলাকাবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুরোধ করলেও কে শোনে কার কথা। তাদের কথা উপেক্ষা করে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। ঢাকা ফেরতদের আতঙ্কিত মনে করার কারণ হিসেবে গ্রামবাসী বলছেন, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন অফিস, মিল-কারখানায় চাকরিতে কর্মরতদের অনেকেই চলতি সপ্তাহে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন। তাদের কেউ কেউ জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত। তাদের কারণে বিভিন্ন উপজেলা করোনা সংক্রমণের তালিকাভুক্ত হয়েছে। ঢাকা ফেরতরা গ্রামে ফিরেই মেজাজে চলাফেরা করছেন। বিশেষ করে গ্রামের চায়ের দোকানগুলো খোলা থাকায় আসর জমে উঠে রীতিমতো।
[৫] জেলা প্রশাসন/ পুলিশ প্রশাসন থেকে তাদেরকে হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিলেও মানছেন তারা। গত এক সপ্তাহে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া- কোটালীপাড়া- মুকসুদপুর- কাশিয়ানী ও জেলা সদরে হাজারেরও বেশী মানুষ ঢাকা- নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে গ্রামে এসেছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় ঢাকা ফেরৎ মানুষ বেশী। তারা কারো কথা শোনেননা। মান্য করেননা গ্রামের কোন মানুষকে।
[৬] জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেছেন, আমরা মানুষ বুঝিয়ে ঘরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্ত কোনভাবেই তাদেরকে ঘরমুখো করা সম্ভব হচ্ছেনা। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ