নাটোর প্রতিনিধি : [২] বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন নিউজপোর্টালে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কবলেপড়া শামুকখোল পাখি ধরে রান্না করে খাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নজরে আসে। শুক্রবার বিকেলে তারা উপজেলার বাজিতপুর গ্রামে গিয়ে পাখির আবাসস্থল দেখেন এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
[৩] স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘূর্ণিঝড়ে মাটিতে আছড়েপড়া পাখি ধরে যারা রান্না করে খেয়েছেন, তাদের বাড়িতে যান কর্মকর্তারা এবং পাখি জবাই করার প্রমাণও পান। তবে খবর পেয়ে অভিযুক্তরা আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
[৪] এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ, রাজশাহী বিভাগীয় বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর, ফরেস্টার আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভেটেরেনারি সার্জন ডা. উজ্জ্বল কুমার কুন্ডু, বড়াইগ্রাম থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন, বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি অহিদুল হক, স্থানীয় পাখিপ্রেমী আব্দুল কাদের সজল ও প্রভাষক মহসিন আলীসহ আনসার ভিডিপির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
[৫] উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্তরা আগেই পালিয়ে গেছেন। তবে ভবিষ্যতে পাখির কেউ ক্ষতি করবে না মর্মে স্থানীয়রা প্রতিশ্রুতি দিয়েছ্নে।
[৬] বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর জানান, তারা গর্হিত কাজ করেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। অল্পদিনের মধ্যে এই স্থান পাখিদের নিরাপদ আবাস্থল ঘোষণা করে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :