ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] বাড্ডা থানা পুলিশের চৌকস অভিযানে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতারসহ অপহৃত শিশু সামিয়াকে (৭) উদ্ধার করা হয়েছে।
[৩] গ্রেফতারকৃত দুই অপহরণকারী হলেন, জাহিদ (২০) ও আঃ জলিল (১৯)। তাদের কাছ থেকে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি ধারালো চাকু, রশি ও স্কচটেপ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার বাড্ডা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
[৪] বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় একটি গ্যারেজের রিকশা চালাতেন জাহিদ ও জলিল। সে সুবাদে রিকশা গ্যারেজ মালিকের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয় তাদের। এই বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বুধবার বেলা তিনটার দিকে গ্যারেজ মালিকের মেয়ে শিশু সামিয়াকে অপহরণ করে তারা। এরপর তারা গ্যারেজের মালিকের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অন্যথায় তার মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা।
[৫] কি করবে ভেবে পাচ্ছিল না শিশুটির বাবা গ্যারেজের মালিক। ছুটে যান বাড্ডা থানায়। থানা পুলিশ তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, অপহরণকারীরা তার মেয়ের কিছু করতে পারবে না। যত দ্রুত সম্ভব তারা তাকে উদ্ধার করবেন।
[৬] এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিযানে নামে পুলিশ। বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে অপরাধীদের অবস্থান সনাক্ত করে অপহরণকারীদের গ্রেফতারসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
[৭] জানা যায়, পুলিশের অভিযানের কথা জানতে পেরে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু যথাসময়ে পুলিশের চৌকস অভিযানের ফলে শিশু সামিয়াকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আদরের ধনকে বুকে ফিরে পেয়ে আনন্দ ও পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতায় তখনো দুচোখ জ্বলজ্বল করছিল রিকশা গ্যারেজের মালিকের।
আপনার মতামত লিখুন :