যশোর প্রতিনিধি : [২] বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বাসা থেকে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন তিনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন।
[৩] ফখরে আলমের মরদেহ এখন তার যশোর শহরের রেলগেট তেঁতুলতলার বাসভবনে রয়েছে। খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, সহকর্মীরা ভীড় করছেন সেখানে।
[৪] ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর একপর্যায়ে ফখরে আলম চোখের দৃষ্টিশক্তিও হারান। তিনি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন।
[৫] মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ফখরে আলম দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এর আগে তিনি জনকণ্ঠ, ভোরের কাগজ, বাংলাবাজার,যায়যায়দিন প্রভৃতি পত্রিকায় কাজ করেছেন।
[৬] সাংবাদিকতা জীবনে তিনি মোনাজাত উদ্দিন স্মৃতি পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। কবি হিসেবেও তার ব্যাপক পরিচিতি ছিল। একসময় যশোর সাহিত্য পরিষদেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।
কবিতা, সাংবাদিকতা, মুক্তিযুদ্ধ প্রভৃতি বিষয়ে ফখরে আলম অনেকগুলো বই লিখেছেন।
[৮] ৬১ বছর বয়সী ফখরে আলম বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, দুই ছেলে-মেয়েসহ অনেক গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। যশোর শহরতলীর চাঁচড়া এলাকার বাসিন্দা তার বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা।সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার