মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটি থাকায় বন্ধ রয়েছে পুঁজিবাজার। তবে এর আগে থেকেই এ বাজারের অবস্থা অতিনাজুক ছিলো। এ সময়ে অনেক বিনিয়োগকারী তাদের পুঁজি হারিয়েছে। এ বাজারকে ঘুড়ে দাঁড়া করাতে চলতি বাজেট আলোচনায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ এনবিআরে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছেন।
[৩] আসছে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে এ বিষয়ে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে ডিএসই।
[৪] এ প্রস্তাবে ১০টি দাবি জানানো হয়। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার বর্তমানে ২৫ শতাংশ রয়েছে। এ হার থেকে ৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশ করার দাবি করেন। এছাড়া তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর হার ৩৭.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩২.৫০ শতাংশ করার দাবি করেন।
[৫] বর্তমানে লভ্যাংশ আয় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধা রয়েছে। ডিএসসি এ সুবিধাকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করতে বলেছে। এ সুবিধা দিলে বিনিয়োগকারীরা পুঁিজবাজারের প্রতি আকৃষ্ট এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়ন হবে বলে দাবি ডিএসইর।
[৬] ডিএসইর অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী ১০ বছরের জন্য পূর্ণ কর অব্যহতি দেয়া। অর্থাৎ ২০২৩-২৪ পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জকে শতভাগ করমুক্ত সুবিধা দিতে হবে।
[৭] স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে অগ্রিম কর হার ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০১৫ শতাংশ করা।
[৮] ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ শতাংশ করা এবং দুই বছর তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ কর সুবিধা দেয়া।