স্পোর্টস ডেস্ক : [২] দেশের ক্রিকেট থেকে অবসরের পর কিছু দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু বর্তমানে কোনো দায়িত্বে নেই সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট। তাই করোনার এই ছুটিতে নিজ গ্রামের বাড়িতে আছেন।
[৩] গত দুমাস ধরে রাজশাহীতেই আছেন তিনি। সকালে মাঠের পরিচর্যা আর বিকেলে অস্বচ্ছল ক্রীড়াবিদদের মাঝে ত্রাণ বিতরন করেই দিন কাটছে তার। সেখান থেকে মুঠোফোনে পাইলট বলেন, আমি এখন কোন দলের সঙ্গে জড়িত নেই। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কোচিং করানোর ইচ্ছেও নেই। তাই করোনার এই সময়টা নিজের শহর আছি। এখানে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত আমার একাডেমির মাঠে পানি দিচ্ছি। ঘাস কাটি এক কথায় গ্রাউন্ডসম্যানের কাজটাই করছি। এই মাঠটা এখন মনের মতো সুবজ হয়ে গেছে। খেলা নেই উইকেটগুলো বিশ্রাম পাচ্ছে। মানবজমিন
[৪] দুপুর ২ টার পর থেকে রাজশাহীর অস্বচ্ছল ক্রীড়াবিদদের জন্য রমজান মাসের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও খাবার উপহার প্যাকেট করে বিতরণ করি। এর মধ্যে ৬০ জন ক্রিকেটার ও ৪০ জন ফুটবলারকে আমাদের উপহার পৌছে দিয়েছি।’
[৫] তিনি বলেন, ‘আমরা যারা রাজশাহীর হয়ে মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালে খেলি তারা সবাই মিলে একটা তহবিল করেছি। আমরা প্রথম ঠিক করেছিলাম শুধু ক্রিকেটারদের সহায়তা করবো। কিন্তু পরে দেখলাম এখানে এমন অনেক ফুটবল, হকির খেলোয়াড়ও আছেন যাদের অবস্থা খুব একটা ভালো না। তবে আমরা এটাকে কোন ভাবে ত্রাণ বলছি না। বলছি উপহার, যা দিয়ে তারা রমজান মাসটা ভালো ভাবে চলতে পারে। সেই সঙ্গে তাদের আত্মসম্মান বজায় রাখার দিকটাও খেয়াল করছি।