আশরাফুল আলম খোকন : সম্প্রতি একজন বিখ্যাত লোকের সঙ্গে কথা হলো। খুব সচেতন মানুষ। দেশ জাতি নিয়ে সবসময় সজাগ থাকেন। নিজের নিরপেক্ষ ইমেজও যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে আরও বেশি সজাগ দৃষ্টি থাকে। সবাইকেই তিনি তার লেখা ও মতামত দিয়ে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করেন। সুতরাং ব্যক্তি সম্পর্ক আমার সঙ্গে ভালো হলেও দৃষ্টিভঙ্গির জায়গায় ব্যাপক তফাৎ। তিনি অনেক পড়ালেখা করেন। শিক্ষকতা, পত্রিকা, জার্নাল, টিভি এসব নিয়েই তার জ্ঞান গরিমার রাজ্য। অনেকদিন পর ফোন দিলেন। বললেন, ১৫/১৬ দিনে বিভিন্ন পত্রিকায় আমার অনেকগুলো লেখা পড়েছেন। শুনে খুবই খুশি হলাম যে আমার মতো মানুষের লেখাও তিনি পড়েন।
কেমন হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিলেন। বললেন, তোমার লেখার স্টাইল ভালো, তথ্য থাকে অনেক, সহজ ভাষায় লিখো, কিন্তু অনেক বিতর্কিত তথ্যও থাকে। জিজ্ঞেস করলাম বিতর্কিত তথ্য কী রকম? বললেন, সবাই যেসব তথ্য ভালোভাবে নেয় না। জিজ্ঞেস করলাম এই সবাইটা কে? মিথ্যা কিছু লিখেছি কখনো? তিনি বললেন, না মিথ্যা ঠিক নয়, তবে সব সত্য সবসময় লিখতে হয় না। তুমি লিখতে গেলে সবার জন্যই লিখতে হবে। সবাই যেন খুশি থাকে। তুমি খুব একপেশে, একচোখা। বুঝলাম, তার সঙ্গে তর্ক করে লাভ নেই। বাস্তবতার আশপাশ দিয়ে যাবেন না। তর্ক করে মঙ্গলগ্রহ পর্যন্ত আমাকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবেন। তর্কে ঢুকবেন শ্রীলংকা দিয়ে বের হবেন আফ্রিকার জঙ্গল দিয়ে। যার আগা মাথার কোনো ঠিক থাকবে না। সোজা বললাম, দেখেন ভাই আপনার ১০টা চোখ, খুবই ভালো। উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম, ডানাতি, জামায়াতি, বামাতি সবাইকে সন্তুষ্ট করার জন্য লিখতে হয়। নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য হাততালি পাবার জন্য।
তবে হ্যাঁ ভাই, আমি একচোখা। আপনার মতো ১০টা চোখ দিয়ে আমি ১০ দিক দেখি না। আর এই একচোখ দিয়ে আমি শুধু বাংলাদেশটা দেখি। আর দেখি এই দেশটার জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ এখনো রাজনীতিতে আসেনি। দেশের স্বার্থে আমার একচোখ নীতিই ভালো। এরপর টেলিফোনের ওই পাশ থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস আসলো। আর বললেন, তুমি এখনো আগের মতোই রয়ে গেছো। কোনো পরিবর্তন নেই। আমি কিছু বলার আগেই ফোন রেখে দিলেন। বলতে চেয়েছিলাম, বাংলাদেশকে দেখার আমার চোখটা আপনার হাজার চোখের চেয়ে দামি। ওইটা নিয়েই বাকি জীবনও থাকতে চাই। কারণ আমি বাংলাদেশের দালাল। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :