শিরোনাম

প্রকাশিত : ১০ মে, ২০২০, ০৩:১০ রাত
আপডেট : ১০ মে, ২০২০, ০৩:১০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] দুর্দিনে পাশে নেই পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠন

রাজু আলাউদ্দিন : [২] কর্মহীন শ্রমিকদের দুর্দিনে পাশে নেই পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠন। বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা চাঁদা তুললেও তা শ্রমিক কল্যাণে নয়, চলে যাচ্ছে প্রভাবশালীদের পকেটে।

[৩] বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধি অনুযায়ী পরিচালিত হলে পরিবহন খাত সব পক্ষের জন্য উপকার বয়ে আনতো। চাঁদার অঙ্ক সঠিক নয় দাবি করে সংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, শ্রমিক-কর্মীদের স্বল্প পরিসরে সহায়তা করছেন তারা।

[৪] যেকোনো পরিবহনকেই ঘাটে-বেঘাটে চাঁদা দিয়েই চলতে হয় প্রতিনিয়ত। কমপক্ষে ৮ লাখ নিবন্ধিত ও এর বাইরে থাকা আরও বিপুল সংখ্যক বাণিজ্যিক পরিবহন চলে রাস্তায়। ধারণা করা হয়, ৩০০’র বেশি মূল ও অগণিত শাখা সংগঠন কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় করে বছরে।

[৫] চাঁদা আদায়ে মালিক-শ্রমিক-প্রশাসন সবাই জড়িত থাকলেও শ্রমিক কল্যাণের বিষয়টি বরাবরই থাকে উপেক্ষিত। চাঁদার হার নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে শ্রমিক-মালিক প্রতিনিধিদের মধ্যে।

[৬] সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি সহ সভাপতি মো. আবুল কালাম বলেন, প্রত্যেকটা ইউনিয়নই শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য। মালিকের গাড়ি সিরিয়ালে যাওয়ার সময় একটা অর্থ রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিপুল অংকের টাকা লেনদেনের ক্ষেত্র হলেও শৃঙ্খলার আওতায় আনা যায়নি পরিবহনখাতকে। নিয়োগপত্র না থাকায় প্রয়োজনে কর্মীদের শনাক্ত করা এবং সহযোগিতা পেতে তালিকাভুক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

[৭] পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন বলেন, নিয়োগদানের বিষয়টা এই সেক্টরে হয়নি। শ্রমিক-কর্মচারীদের একতা চূড়ান্ত লিস্ট করে সেইটা অনুযায়ী বিবেচনা করা যেতে পারে। পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক বলে বরাবরই অভিযুক্ত যারা, এমন নেতাদের দাবি-চাঁদা আদায়ের নীতিমালা তৈরির সুপারিশ করেছেন তারা।

[৮] এদিকে, গত ২৬ মার্চ থেকে লকডাউনের পরই সারা দেশে পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কর্মহীন হয়ে পড়েন কমপক্ষে ৭০ লাখ শ্রমিক। সময় টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়