শিরোনাম
◈ ৯ দল নিয়ে এনসিপির রাজনৈতিক জোটের সম্ভাবনা: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ◈ ষড়যন্ত্রকারীদের হিসাব পাল্টে যাবে যদি বিএনপি রাজপথে নামে: ফখরুলের সতর্কবার্তা ◈ এনসিপির মনোনয়ন ফরমের মূল্য ১০ হাজার, মুক্তিযোদ্ধা ও নিম্নআয়ের প্রার্থীদের জন্য ছাড় ◈ অ-অভিবাসী ৮০ হাজার ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন ◈ জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন ◈ প্রার্থী ঘোষণা করায় চাঙ্গা বিএনপির তৃণমূল ◈ গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিল বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ ◈ ৫ দুর্বল ইসলামী ব্যাংক: আমানতকারীরা যেভাবে টাকা ফেরত পাবেন ◈ জুলাই সনদ ও গণভোটের দাবিতে জামায়াতসহ আট দলের বিক্ষোভ, রাজধানীতে তীব্র যানজট ◈ এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজ গ্রেফতার

প্রকাশিত : ০৮ মে, ২০২০, ০৮:১৩ সকাল
আপডেট : ০৮ মে, ২০২০, ০৮:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ এখন দুষ্টচক্রের হাতে বন্দি

আহসান হাবিব : কৃষক ধানের নায্য মূল্য না পেলে আমরা প্রতিবাদ করি, আবার চালের দাম বাড়লেও প্রতিবাদ করি। সবই যে মধ্যস্বত্বভোগী এবং ব্যবসায়ীদের কারসাজি এদিকে আঙুল তুলি না। উৎপাদক এবং ভোক্তার মাঝখানে যে ছোট অংশ বাজার নিয়ন্ত্রণ করে, মূল হোতা তারাই। বাজার অর্থনীতির এটা এমন একটা কারবার যে একে উৎখাত কিংবা রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ না করলে এটা চলতেই থাকবে, ক্রমাগত বৈষম্য বাড়বে এবং ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বাড়তেই থাকবে। উৎপাদকের কাছ থেকে যতো হাত ঘুরে ভোক্তার কাছে পণ্য আসবে, ততো মূল্য বাড়তে থাকবে। এই হাতগুলো আর কিছু নয়, বাজার ব্যবস্থার অনুৎপাদনশীল অংশ যারা দুই প্রান্ত থেকে মুনাফা লুটে নেয়। যে ভোক্তা সে আবার কোনো না কোনোভাবে উৎপাদক, তারা যখন তার পণ্য বিক্রি করবে, তখন সঠিক মূল্য পাবে না আবার সেই একই ভোক্তা যখন কোনো পণ্য কিনতে যাবে, তখন তাকে কিনতে হবে চড়া দামে। মাঝখানের এই যে বাড়তি অর্থ এটা যাবে এসব মধ্যস্বত্বভোগী এবং ব্যবসায়ী পুঁজিপতিদের হাতে। ফলে গড় প্রবৃদ্ধি বাড়বে, কিন্তু তার সুফল যাবে অনুৎপাদনশীল দুই ধরনের মানুষের পকেটে। তাদের পকেট যখন খুব ভারি হয়ে উঠবে, তখন তারা টাকা বিদেশে পাচার করবে। আর একদল আছে, তারা ঠিকাদার। বড় বড় কাজের ঠিকা নিয়ে তারা কাজের জন্য যতো ব্যয়, তা না করে কিছু ব্যয় করে সিংহভাগ টাকা মেরে দেয়, এতে অনেকে ভাগ বসায়, প্রধানত রাজনৈতিক দালাল এবং নেতাদের পকেটে এই টাকাগুলো যায়। এই টাকা উন্নয়নের নামে জাতীয় বাজেটের অংশ। দেশীয় উৎস থেকে সংগৃহীত অর্থ গুটিকয়েক লোক মেরে নিজেরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়। তারাও টাকা পাচার করে। এছাড়া ব্যাংক থেকে ঋণের টাকা পরিশোধ না করে এবং রাষ্ট্রের অর্থ তছরুপ এবং বিভিন্ন অসৎ উপায়ে টাকা আত্মসাৎ করে কিছু মানুষ অবৈধ টাকার মালিক হয়ে পড়ে। তারাও বিদেশে টাকা পাচার করে। ফলে উন্নয়নের দৃশ্যত যে ছবি আমরা দেখি, তা প্রকৃত ছবি নয়, এসব প্রায় চুইয়ে পড়া অর্থের কিছু চিহ্ন, যদি সব অর্থের সঠিক বিনিয়োগ হতো, তাহলে যে উন্নয়ন হতো, তা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যেতো। এসব অসঙ্গতির প্রতিটি পর্বে থাকে রাজনৈতিক রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ। ফলে জনগণ এর বিরুদ্ধে কিছু করতে পারে না। শোষণ চলতে থাকে। বাংলাদেশ এখন এই দুষ্টচক্রের হাতে বন্দি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়