শিরোনাম
◈ বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতা বাড়ছে: শিক্ষার্থী, চিকিৎসক ও ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি চরমে! ◈ পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য ◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ

প্রকাশিত : ০৮ মে, ২০২০, ০৮:১৩ সকাল
আপডেট : ০৮ মে, ২০২০, ০৮:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ এখন দুষ্টচক্রের হাতে বন্দি

আহসান হাবিব : কৃষক ধানের নায্য মূল্য না পেলে আমরা প্রতিবাদ করি, আবার চালের দাম বাড়লেও প্রতিবাদ করি। সবই যে মধ্যস্বত্বভোগী এবং ব্যবসায়ীদের কারসাজি এদিকে আঙুল তুলি না। উৎপাদক এবং ভোক্তার মাঝখানে যে ছোট অংশ বাজার নিয়ন্ত্রণ করে, মূল হোতা তারাই। বাজার অর্থনীতির এটা এমন একটা কারবার যে একে উৎখাত কিংবা রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ না করলে এটা চলতেই থাকবে, ক্রমাগত বৈষম্য বাড়বে এবং ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বাড়তেই থাকবে। উৎপাদকের কাছ থেকে যতো হাত ঘুরে ভোক্তার কাছে পণ্য আসবে, ততো মূল্য বাড়তে থাকবে। এই হাতগুলো আর কিছু নয়, বাজার ব্যবস্থার অনুৎপাদনশীল অংশ যারা দুই প্রান্ত থেকে মুনাফা লুটে নেয়। যে ভোক্তা সে আবার কোনো না কোনোভাবে উৎপাদক, তারা যখন তার পণ্য বিক্রি করবে, তখন সঠিক মূল্য পাবে না আবার সেই একই ভোক্তা যখন কোনো পণ্য কিনতে যাবে, তখন তাকে কিনতে হবে চড়া দামে। মাঝখানের এই যে বাড়তি অর্থ এটা যাবে এসব মধ্যস্বত্বভোগী এবং ব্যবসায়ী পুঁজিপতিদের হাতে। ফলে গড় প্রবৃদ্ধি বাড়বে, কিন্তু তার সুফল যাবে অনুৎপাদনশীল দুই ধরনের মানুষের পকেটে। তাদের পকেট যখন খুব ভারি হয়ে উঠবে, তখন তারা টাকা বিদেশে পাচার করবে। আর একদল আছে, তারা ঠিকাদার। বড় বড় কাজের ঠিকা নিয়ে তারা কাজের জন্য যতো ব্যয়, তা না করে কিছু ব্যয় করে সিংহভাগ টাকা মেরে দেয়, এতে অনেকে ভাগ বসায়, প্রধানত রাজনৈতিক দালাল এবং নেতাদের পকেটে এই টাকাগুলো যায়। এই টাকা উন্নয়নের নামে জাতীয় বাজেটের অংশ। দেশীয় উৎস থেকে সংগৃহীত অর্থ গুটিকয়েক লোক মেরে নিজেরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়। তারাও টাকা পাচার করে। এছাড়া ব্যাংক থেকে ঋণের টাকা পরিশোধ না করে এবং রাষ্ট্রের অর্থ তছরুপ এবং বিভিন্ন অসৎ উপায়ে টাকা আত্মসাৎ করে কিছু মানুষ অবৈধ টাকার মালিক হয়ে পড়ে। তারাও বিদেশে টাকা পাচার করে। ফলে উন্নয়নের দৃশ্যত যে ছবি আমরা দেখি, তা প্রকৃত ছবি নয়, এসব প্রায় চুইয়ে পড়া অর্থের কিছু চিহ্ন, যদি সব অর্থের সঠিক বিনিয়োগ হতো, তাহলে যে উন্নয়ন হতো, তা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যেতো। এসব অসঙ্গতির প্রতিটি পর্বে থাকে রাজনৈতিক রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ। ফলে জনগণ এর বিরুদ্ধে কিছু করতে পারে না। শোষণ চলতে থাকে। বাংলাদেশ এখন এই দুষ্টচক্রের হাতে বন্দি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়