নিউজ ডেস্ক : গাজীপুরে প্রবাসীর স্ত্রী আর সন্তানসহ ৪ খুনের ঘটনায় বেশকছিু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। ঘটনায় জড়িত বাবাসহ বাকিদের বাঁচাতে নিজের ওপর সব দায় নিয়েছে ১৭ বছরের পারভেজ। অবিশ্বাস্য ব্যাপার হলো, ঘটনার রাতে বাবা-ছেলে মিলে ধর্ষণের পর খুন করে প্রবাসীর স্ত্রী আর সন্তানদের। এ ঘটনায় আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
২৩ এপ্রিল সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার আবদার এলাকায় ঘরের ভেতরে পাওয়া যায় মা ফাতেমা ও তার দুই কন্যা এবং বাক প্রতিবন্ধী ছেলের মরদেহ। ময়মনসিংহের পাগলা থানার গোলবাড়ী গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী রেজোয়ান হোসেন কাজল সংসার পেতেছিলেন এখানে।
দুদিন পরই মর্মান্তিক সে হত্যার ঘটনায় পারভেজ নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর পিবিআই। নিজেকে মূল আসামি স্বীকার করে তার স্বীকারোক্তিতে রক্তমাখা জামা, মোবাইল ও লুট করা স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার গাজীপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে আরো ৫জনকে গ্রেফতারের পর র্যাব জানায়, পারভেজের বাবা কাজিম উদ্দিনও এই হত্যায় জড়িত। জুয়া খেলার টাকা জোগাড়ে নিষ্ঠুর এই পরিকল্পনা করে কয়েকজন মিলে।
তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ ৩০ হাজার টাকা, স্বর্নের আংটিসহ হত্যায় ব্যবহৃত জিনিসপত্র। র্যাব জানায়, পারভেজসহ ঘটনায় অংশ নেয়া সবাই-ই ধর্ষণ করে নিহতদের।
র্যাব জানায়, প্রবাসী কাজলের প্রতিবন্ধী পুত্রকে প্রথমে খুন করতে না চাইলেও প্রমাণ ধংসে তাকেও হত্যা করে ঘাতকরা।
ঘটনায় জড়িত আরো ৩/৪ জনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানায় র্যাব। সূত্র : চ্যানেল২৪