ডেস্ক রিপোর্ট :[২] নারায়ণগঞ্জ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রতিনিধি ডা. জাহিদ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। পাশাপাশি প্রতিদিন নিজের দায়িত্বও পালন করেছেন। মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের মতো টেস্টে তার করোনা ভাইরাস নেগেটিভ আসে।
[৩] কীভাবে, কী চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হয়েছেন, তা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে তুলে ধরেছেন। ডা. জাহিদ বলেন, আক্রান্ত হবার পরও অনেকটা সুস্থ ছিলাম। বাড়িতে আইসোলেশনে থেকেই আমি সুস্থ হয়েছি। আমার পরিবারের কিংবা কারও সংস্পর্শেই আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় যাইনি। এসময় মোবাইলে অর্পিত দায়িত্ব সার্বক্ষণিক পালন করেছি।
[৪] তিনি বলেন, সম্প্রতি পরপর দুইবার নমুনা সংগ্রহ করা হলে দুটোর ফলাফলই করোনা নেগেটিভ এসেছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। আমার করোনার সব উপসর্গ, যেমন, জ্বর, খুসখুসে কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও পেট খারাপ সবই ছিল। শুধু গলাব্যথা ছিল না। এসব উপসর্গ নিয়েই আমি একা আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে গেছি।
[৫] ডা. আরও জাহিদ বলেন, আমি জ্বরের নিয়মিত ওষুধ সেবন করেছি। বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও পেট খারাপের ওষুধ সেবন করেছি। অ্যান্টিবায়োটিকও গ্রহণ করেছি। আমি প্রতিদিন গোসল করেছি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকেছি। গরম পানি পান করেছি। এবং আদা খেয়েছি।
[৬] তিনি বলেন, এ রোগে আতঙ্কিত না হয়ে একটু সচেতন এবং নিয়মিত স্বাভাবিক ওষুধ সেবন ও সতর্ক থাকাই পারে সুস্থতা এনে দিতে। পাশাপাশি আমাদের সবার নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও সতর্ক থাকাই পারে করোনা রোধ করতে।
[৭] এরইমধ্যে মঙ্গলবার অফিসও করেছেন ডা. জাহিদ। পরে নিজেই কিছুদিন বিশ্রামে থাকবেন বলে সন্ধ্যায় কাজ শেষে বাড়ি ফিরেছেন। তবে এরমধ্যে যেকোনো প্রয়োজনে তিনি অফিস করবেন বলে জানিয়েছেন।
[৮] এর আগে গত ৬ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহের পর ৮ এপ্রিল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ (কোভিড-১৯) পরীক্ষায় ডা. জাহিদ শনাক্ত হন। পরে ১৮ এপ্রিল ও ২০ এপ্রিল দুইবার তার নমুনা সংগ্রহ করা হলে দুটিতেই করোনা নেগেটিভ ফলাফল আসে। বাংলানিউজ২৪