লিহান লিমা: [২] জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে তরুণ সমাজের মধ্যে বেড়ে যাওয়া হতাশা ও ক্ষোভকে সুযোগে পরিণত করতে তৎপর রয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো। গুতেরেস আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই বৈশ্বিক সংকটের সময় হারিয়ে যাওয়া প্রজন্মের ( দ্য লস্ট জেনারেশন) ক্ষতিপূরণ দেয়ার সামর্থ্য রাখে না বিশ্ব। টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস
[৩] জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে গুতেরেস আরো বলেন, বর্তমান এই সংকটের পূর্বেও তরুণরা নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। গুতেরেস বলেন, পাঁচ জনের মধ্যে একজন তরুণ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় না এবং চারজনের মধ্যে একজন তরুণ ইতোমধ্যেই সহিংসতা ও সংঘর্ষের শিকার। এই পরিস্থিতে হতাশ তরুণদের সহজেই নিজেদের ফাঁদে ফেলতে পারে চরমপন্থী গোষ্ঠিগুলো।
[৪] গুতেরেস বলেন, ‘বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকারগুলো তরুণদের এই হতাশা কাটাতে ব্যর্থ, তাদের রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আস্থা কমে যাচ্ছে। আর যখন এইরুপ পরিস্থিতি হয় তখন জঙ্গি গোষ্ঠিগুলো এই হতাশা, ক্ষোভ আর ক্রোধকে পুঁজি করে তরুণদের জঙ্গীবাদে উদ্বুদ্ধ করে।
[৫] জাতিসংঘ মহাসচিব সুস্পষ্ট করে বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই দেখেছি যে কোভিড-১৯ লকডাউনের সুযোগে এই জঙ্গী গোষ্ঠিগুলো সামাজিক মাধ্যমে তাদের অবস্থান জোরদার করেছে। তরুণরা যখন ঘরে বসে ইন্টারনেটে সময় ব্যয় করছে ঠিক এই অবস্থানের সুযোগ নিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠিগুলো প্রচারণা চালাচ্ছে ও ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।
[৬] গুতেরেস শান্তি, নিরাপত্তা ও সুরক্ষিত তারুণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তরুণের মেধা দ্বারাই আমরা এই মহামারী মোকাবেলা করতে পারি। আমাদের এমন একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন যাতে কিনা ভবিষ্যত শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল হয়।
[৭] ইউনেস্কোর বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, কেভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত ৪ কোটি ২০ লাখ থেকে ৬ কোটি ৬০ লাখ শিশু ‘চরম দারিদ্রের’ মধ্যে পড়তে পারে এবং বিশ্বের ৯১ শতাংশ শিক্ষার্থীর স্কুল জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৯১টি দেশের ১৫০ কোটিরও বেশ শিক্ষার্থী পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েছে।