সিরাজুল ইসলাম: [২] চীনের উহান থেকে আসা এক মেডিকেল ছাত্রের শরীরে প্রথম এখানে ভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে শনাক্ত এগারো হাজার। মারা গেছে ৪৪৮ জন। এখানে শনাক্ত ৩৮৭, মারা গেছে তিনজন।
[৩] রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা বলেন, ২০১৮ সালে ‘নিপাহ’ ভাইরাসে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগান তারা। জানুয়ারির শেষদিকে উহানে আটকে পড়া কেরালাবাসীদের নিয়ে আসা প্রত্যেকের তাপমাত্রা মাপা হয় বিমানবন্দরে। সামান্য উপসর্গ থাকলেই হাসপাতালে পাঠানো হয়।
[৪] আলেপ্পোই শহরের বাসিন্দা পন্নুমোন চন্দ্র শেখর বলেন, অসুস্থতার লক্ষণ থাকলেই তাদের কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। অনেকে ভ্রমণের কথা লুকান। অসুস্থ হলে লালারস পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে। সরকার বিপুল লোকবল লাগিয়ে তাদের সংস্পর্শে আসাদের খুঁজে বের করে।
[৫] শনাক্ত ব্যক্তি যাদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের খুঁজে বার করা রীতিমতো খড়ের গাদায় সূচ খোঁজার মতো ঘটনা। সেই দায়িত্ব একজন অফিসারকে দেয়া হয়েছে। আরও ১৭ জন বিশেষজ্ঞ নানা দায়িত্বে আছেন। যেমন ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক যোগাড়, মানসিক চাপে থাকাদের সামলানো ইত্যাদি।
[৬] মানুষও সচেতন হয়েছিলো। আনুষ্ঠানিক লকডাউনের আগে থেকেই কেরালায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, রাস্তায় মানুষ কম বেরনো, বাস স্ট্যান্ডে সাবান আর জলের ব্যবস্থা করাও কাজে এসেছে। সূত্র: বিবিসি