সুজন কৈরী : [২] পিন্টুসহ অজ্ঞাত দুই থেকে তিনশ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কাউন্সিলর শেখ সেলিম। এরপরই পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম সারোয়ার পিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[৩] বাড্ডা থানার ওসি পারভেজ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৪ এপ্রিল সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিরতণকালে অনিয়মের অভিযোগ এনে রাস্তা অবরোধ করে মিছিল ও বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। মিছিলকে পূর্বপরিকল্পিত অভিযোগ করে পিন্টু, আবুল বাশার, জজ মিয়া ও আলাউদ্দিন- এই চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই/তিনশ জনের নামে মামলা করেন স্থানীয় কাউন্সিলর শেখ সেলিম। অভিযোগে বলেছেন, সেদিন ভাড়া করে লোক এনে জনসমাবেশ ঘটানো হয়েছিলে।
[৪] ওসি জানান, গ্রেপ্তার গোলাম সারোয়ার পিন্টু দুই বার নির্বাচনে কাউন্সিলির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। তিনি নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে নারায়ণগঞ্জে র্যাবের হাতেও ধরা পড়েছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
[৫] মামলার এজাহারে শেখ সেলিম উল্লেখ করেন, গত ১৪ এপ্রিল সকাল ১০ টার দিকে ২১, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তিন কাউন্সিলর যথাক্রমে মাসুম গণি তাপস, জাহাঙ্গীর আলম ও শেখ সেলিম ত্রাণ বিতরণ করছিলেন। ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম হওয়ার গুজব ছড়িয়ে সাধারণ জনগণকে ক্ষেপিয়ে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় রামপুরা-উত্তরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করানো হয়। এ ঘটনায় সরকার ও তার নিজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব