মাহমুদুল আলম : [২] নিহতরা ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, লক্ষ্মীপুর ও কুষ্টিয়ার অধিবাসি। তাদের মধ্যে দুইজন নারী। এছাড়া একই উপসর্গ নিয়ে নিহত হওয়া নোয়াখালীর এক ইতালী প্রবাসীর দেহ থেকে নেয়া নমুনায় করোনাভাইরাস ছিল বলে ধরা পড়েছে।
[৩] শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার কাউতলীর নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান এক নারী। পরে মেডিকেল টিমের সহায়তায় তার দাফন করা হয়। নিহত ব্যক্তি কোভিড – ১৯ এ আক্রান্ত ছিলেন কিনা, তা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
[৪] লক্ষ্মীপুরের কমলনগরেও জ্বর ও কাশি নিয়ে মারা গেছেন বৃদ্ধসহ দুইজন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাতে নিজ বাসায় মারা যান তিনি। তারও নমুনা সংগ্রহ করে তাকে দাফন করা হয়েছে। জেলার রামগঞ্জ উপজেলার শেফালীপাড়ায়ও একই উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন একজন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের বাড়িসহ আশপাশের নয়টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
[৫] কুষ্টিয়ার দৌলতপুরেও একই উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন একজন। জ্বর-মাথাব্যথা নিয়ে শুক্রবার রাতে মারা যান তিনি। পরে নিহতের বাড়ির আশপাশে বেশ কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়।
[৬] এদিকে নোয়াখালী জেলার সোনাপুরের এক ইতালী প্রবাসীর দেহ থেকে নেয়া নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজেটিভ এসেছে। কোভিড-১৯ এর উপসর্গ নিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে যাওয়ার পথে গত বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি। পরে তার পরিবারের ২৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। একাত্তর টেলিভিশনের সংবাদে এই তথ্য জানা গেছে। সম্পাদনা : রাশিদ