শরিফুল হাসান : আরও ৫৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। না বেশি সংখ্যক রোগী আক্রান্ত নিয়ে আমি ভয় পাচ্ছি না। বরং যতো বেশি আক্রান্তের সংখ্যা আমরা খুঁজে বের করতে পারবো ততোই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে যেটা আমরা এর আগে করিনি। আমি বলবো, সম্ভব হলে প্রতিদিন এখন ১০-২০ হাজার মানুষকে পরীক্ষা করা হোক। পারলে লাখ। যতো বেশি পরীক্ষা করবো আক্রান্তদের নির্দিষ্ট করে অন্যদের থেকে আলাদা করতে ততো বেশি সহজ হবে। আর সেটা করলেই মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। হিসাব করে দেখেন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২১৮ জন রোগী শনাক্ত। আর মৃতের সংখ্যা ২০ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা তুলনা করলে করোনার প্রকোপ বেশি এমন দেশগুলোর মৃত্যুহারের কাছাকাছি চলে গেছে বাংলাদেশ। ভয়টা এখানেই। আর যদি ধরি ১০ দিনে সর্দি কাশিতে ৬৩ জনের মৃত্যুর কথা। সেটা না হয় বাদই দিলাম। করোনায় এই যে ২০ জন মানুষ মারা গেছেন তাদের অনেকই আক্রান্ত লোকের সংস্পর্শে এসেছিলেন। অথচ আক্রান্ত লোককে আলাদা করতে পারলে সেটি হয়তো হতো না। কাজেই সামনের দিনগুলোতে আমরা যতো বেশি আক্রান্তের সংখ্যা শনাক্ত করতে পারবো ততোই অন্যদের বেঁচে যাওয়ার হার বাড়বে। আমি মনে করি না আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বাড়ছে বলে আমাদের সবার ভয়ে গুটিসুটি মেরে বসে থাকতে হবে।
অনলাইনে আলাপকালে বিদেশি এক কূটনীতিক আজ আমায় বলছিলেন, শরিফুল চিন্তা করে দেখো তো বাসায় কিংবা পরিবারের সঙ্গে এতো বেশি সময় কী আগে কখনো দিতে পেরেছো? কাজেই সময়টা ভয় পেয়ে নষ্ট করো না। যা হওয়ার হবেই। শুধু সতর্ক থাকো। নিয়ম মানো। আসলেই তো। আমরা ভয় পেলে তো বিপদ আরও বেশি। তবে আমরা সতর্ক থাকবো। সব নির্দেশনা মানবো। কিন্তু ভয় পাওয়া যাবে না। আল্লাহ আমাদের রহম করুক। ভালো থাকুক প্রিয় বাংলাদেশ। ভালো থাকুক প্রতিটি মানুষ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :