রাশিদ রিয়াজ : [২] বিশ্বে হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইন সবচেয়ে বেশি উৎপাদন করে ভারত। করোনা মহামারীর পর এই ওষুধের রফতানির উপর ভারত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। শনিবার এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘ব্ল্যাংকেট ব্যান’-এ রূপান্তরিত করা হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] গত রোববার টেলিফোনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই ওষুধ সরবরাহ চান। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয় এধরণের ওষুধ রফতানি করা সম্ভব নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অনুরোধ করেন যাতে হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইনের রফতানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। এদিন হোয়াইট হাউস ব্রিফিংয়ের সময়ে ট্রাম্প জানান, ‘আমি বলেছি, আপনি যদি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন, তাহলে খুবই ভালো হবে। যদি তিনি একান্তই এদেশে ওই ওষুধ আসতে না দেন, তাহলেও আমাদের কিছু বলার থাকবে না, তবে তার ফল ভুগতে হতে পারে ভারতকে।’
[৪] তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করার পর রফতানি বাতিল অব্যাহত রাখে দেশটি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন, ভারত যদি অ্যান্টিম্যালেরিয়াল ওষুধ তার দেশে রফতানির অনুরোধ নাকচ করে, তাহলে তার ফল ভুগতে হবে ভারতকে। করোনার মোকাবিলায় বিশেষ কাজ করছে অ্যান্টি ম্যালেরিয়াল ওষুধ। ট্রাম্পের দাবি এই ওষুধই আগামীদিনে পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারে।
[৪] প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারত যথা সম্ভব চেষ্টা করবে এই কঠিন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সব রকম ভাবে সাহায্য করার। হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইনের কেনার আদেশ গত মার্চ মাসে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে কত পরিমাণে অথবা সরকারি নাকি বেসরকারি সংস্থার তরফে এই অর্ডার করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
[৫] যদিও ট্রাম্প বলেননি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার অনুরোধ খারিজ করা দিয়েছেন, তবুও হুঁশিয়ারি বার্তায় তিনি বলেন, ‘বহু বছর ধরে ভারত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সুবিধে নিয়ে এসেছে। তাই এখন যদি ভারত পিছিয়ে যায় আমি অবাকই হব। তবে যাই সিদ্ধান্ত হোক না কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমায় তা জানাতে হবে।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন ভারত থেকে এই ওষুধের জোগান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি ট্রাম্প নিজেও এই ওষুধ খাবেন বলে জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :