মোস্তফা সরয়ার ফারুকী : আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন নানা রকমের ছবি দেখতাম। অ্যাকশন, থ্রিলার, রোমান্স, ড্রামা, ব্রাকেটবিহীন নানা রকম। এখনো নিশ্চয়ই নানা রকম ছবিই হয়। কিন্তু ইদানীং ছবিগুলো বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে একটা মাত্র সূচকের ব্যাপক প্রয়োগ দেখতে পাচ্ছি। এটা আমার কাছে একটু অ্যালার্মিং মনে হয়। সেটা হলো থ্রিল অ্যান্ড সাসপেন্স। নিশ্চয়ই থ্রিল এবং সাসপেন্স দারুণ ব্যাপার। হিচকক সাহেব সাসপেন্সকে অন্য মার্গে নিয়ে গেছেন এবং থ্রিল বা সাসপেন্স থাকলে কোনো ছবি ‘ইনফেরিয়র আর্ট’ হয়ে যায় এমনও নয়। কিন্তু মুশকিল হয় যখন এটা দিয়েই সব ছবিকে মাপতে বসে কেউ। থ্রিল বা সাসপেন্সই একমাত্র অনুভূতি নয়। মানুষের আরও নানা রকম ইমোশন আছে। একেক ছবি একেক ইমোশনকে ধরার চেষ্টা করতে পারে। কোনো কোনো দারুণ ছবি আছে যেটা খুব নাইভ পেসে আগায়, কিন্তু দারুণ দারুণ সব মুহূর্ত তৈরি করে দর্শককে ডিভিডেন্ড দেয়।
যদি থ্রিল হওয়ার বা সাসপেন্স পাওয়ার প্রত্যাশা বা বাসনা নিয়ে সেই ছবিগুলো কেউ দেখতে বসে তখন তো সেগুলোকে বোরিং বলবে। সে জন্য বলতে চাই, অ্যাড্রেনালিন রাশ ছাড়াও আপনার মনের আরও বিচিত্র সব কুঠুরি আছে। সেগুলোকে একটু সুযোগ দিন, মহাজন। সেগুলোর খাবার দিন। তাহলে দেখবেন মন মইজে যাবে। আমি বুঝতে পারি, সোশ্যাল মিডিয়ার স্ক্রলিং হ্যাবিট আমাদের অস্থির করে তুলেছে। ফলে থ্রিল ছাড়া আর কোনো কিছুতে মনোযোগ রাখতে কষ্ট হয়। কিন্তু মনে রাখবেন, কিছুটা স্থিরতা গোপন প্রণয়ের মতো মধুর ফল বয়ে নিয়ে আসতে পারে। এই করোনাকালে এটাতো আমরা বুঝছি, আমাদের তাড়াহুড়া করার কিছু নেই। আমরা কেবল দ্রুত কবরেই যেতে পারি। সো ধীরে বৎস, ধীরে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :