সওগাত আলী সাগর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতির সম্ভাব্য ক্ষতি কাটিয়ে উঠে দাঁড়ানোর জন্য ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। ঘোষিত পদক্ষেপগুলোর সবই ভবিষ্যতের। ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সংকট মোকাবেলায় আগাম পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি থাকা খুবই জরুরি বিষয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৈশ্বিক অর্থনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে। সম্ভাব্য সেই প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় নিয়েই শেখ হাসিনা আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছন। তার এই দূরদৃষ্টির প্রশংসা করি।
কিন্তু করোনায় কি কেবল অর্থনীতির ক্ষতি হবে? এটি কি কেবল ভবিষ্যতের আর্থিক সমস্যা? বর্তমানের স্বাস্থ্য সমস্যা নয়? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সময়মতো ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ায় এখানো বাংলাদেশে ব্যাপক সংক্রমণ ঘটেনি। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কথা সত্য। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে ‘নিয়ন্ত্রণে’ থাকে তার প্রস্তুতিও কি আছে? আমরা জানি এখন পর্যন্ত খুবই সীমিত সংখ্যক টেস্ট হচ্ছে বলে আক্রান্তের সংখ্যাটাও সীমিত। টেস্টের পরিধি বাড়ানো হলে এই সংখ্যাটাও বাড়বে নিশ্চিত। আমরা কি টেস্টের পরিধি বাড়াবো? কতোটা বাড়াবো? নাকি টেস্টের সংখ্যা সীমিত রেখে পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণে’ রাখবো।
কোনো কারণে যদি পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণে’ না থাকে, সেই ‘নিয়ন্ত্রণহীন’ পরিস্থিতি মোকাবেলার নির্দেশনা কোথায় আমাদের? আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার কী হবে? চিকিৎসকদের প্রতিরক্ষা সামগ্রীর কী হবে, টেস্টিং সামগ্রীর কী হবে? কোনো কারণে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে হাসপাতালগুলো কি সেই ভার বইতে পারবে? এই যে এখন করোনার বাইরে অন্য অসুখের চিকিৎসা হচ্ছে নাÑ তার কি কোনো সমাধান নেই? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘একটি মৃত্যুও কাম্য নয়। করোনায় ‘অনাকাক্সিক্ষত’ মৃত্যুরোধে পরিকল্পনা কী? অর্থনীতি বাঁচানোর প্রণোদনা না হয় পাওয়া গেলো, মানুষ বাঁচানোর পরিকল্পনা কোথায়? পুণশ্চ : আমি যদি করোনারকালে চিকিৎসা বিষয়ক প্রণোদনাগুলো মিস করে থাকি, তাহলে জানা মাত্র পোস্টটি সংশোধন করে নেবো। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :