শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৯:১৯ সকাল
আপডেট : ০৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৯:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]উকুন মারার ওষুধে মরবে করোনা!

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের একদল গবেষক দাবি করেছেন, মানুষের মাথার উকুন মারার ওষুধেই ঠেকানো যাবে করোনা ভাইরাস। তাঁরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাধারণভাবে ব্যবহৃত একটি ওষুধ পাওয়া গেছে। এটি একধরনের অ্যান্টি–প্যারাসিটিক ওষুধ। তাঁরা ওই ওষুধটি ব্যবহার করে গবেষণাগারে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ভাইরাসটিকে মেরে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন।

[৩]মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে যৌথ একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রচলিত মাথার উকুন মারার ওষুধ ‘আইভারমেক্টিন’–এর উচ্চমাত্রার ব্যবহার মানুষের কোষে বাড়তে থাকা করোনা ভাইরাসের বৃদ্ধি থামাতে পারে। প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, ‘আইভারমেক্টিন’ করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি রোধ করে দেয়। তবে এটি মানুষের মধ্যে পুরোমাত্রায় কার্যকর কি না এবং কী পরিমাণে প্রয়োগ নিরাপদ, তা এখনো গবেষকেরা নির্ণয় করতে পারেননি। তাঁরা বলছেন, পরবর্তী পদক্ষেপটি হলো সঠিক প্রয়োগ ও পরিমাণ নির্ধারণ করা এবং সেটি মানুষের জন্য নিরাপদ কি না, তা নিশ্চিত করা।

[৪]গবেষণাটি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোনাশ বায়োমেডিসিন ডিসকভারি ইনস্টিটিউট ও পিটার দোর্টি ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশন অ্যান্ড ইমিউনিটি যৌথভাবে করেছে। গবেষণাটির নেতৃত্বে রয়েছেন মোনাশ বায়োমেডিসিন ডিসকভারি ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক কাইলি ওয়াগস্টাফ। তিনি বলেন, বর্তমান ফলাফল অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। কারণ, ওই ওষুধটি এর আগে মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং যুক্তিযুক্তভাবে নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায়ও রয়েছে। সাধারণ ভাষায় এই ওষুধটি কয়েক বছর ধরে সারা বিশ্বজুড়ে মাথার উকুন এবং স্ক্যাবিস ধরনের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

[৫]কাইলি ওয়াগস্টাফ বলছেন, যেহেতু এটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ওষুধ, যদি প্রাক-ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় পর্যাপ্ত কার্যকারিতা পাওয় যায়, তবে এটিকে সরাসরি মানুষের মধ্যে নিয়ে যাওয়া যাবে। এখন কেবল কার্যকারিতা খোঁজা হচ্ছে। কাইলি ওয়াগস্টাফ আরও বলেন, যদি আইভারমেক্টিন নামের ওষুধটি কার্যকর প্রমাণিত হয়, তবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত এটি দ্রুত ব্যবহার করা যাবে। তিনি বলেন, এটি অবশ্যই বিবেচনা করার মতো। সতর্কভাবে এগোতে হবে। এখন প্রাক-ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য তহবিল প্রয়োজন। এ ছাড়া গবেষণাগারে আইভারমেক্টিন নামের ওষুধটি এইচআইভি, ডেঙ্গু ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়