সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য আন্দোলন, নির্বাচনে ব্যর্থ হওয়া একজন দিশেহারা রাজনীতিকের অসংলগ্ন প্রলাপ ও ব্যর্থতার বেসামাল বহিঃপ্রকাশ। বিশ্ব করোনা মোকাবেলায় এক প্লাটফর্মে দাঁড়িয়েছে, তখন তার অর্বাচীনের মতো বক্তব্য জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে। তাদের এই বালখিল্যতার কারণে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তারা জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত।
[৩] তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের নেতা-কর্মীরা জাতীয় এই দুর্যোগে নিরলসভাবে কাজ করছেন। তখনই মির্জা ফখরুলরা ভুল তথ্য উপস্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। এই মূহুর্তে বিভেদ নয়-এটা তাদের বোধগম্য হয় না। প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করে রেখেছেন ও জনগণকে সম্মিলিত প্রয়াস গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে সুুনির্দিষ্ট কর্মসূচি ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। তারা যদি এসব কর্মসূচিকে ভিত্তি ধরে কোন প্রস্তাব দিতেন, সেটা জাতির জন্য আশাব্যঞ্জক হতো। কিন্তু তারা সেটা না করে সরকারের বিরুদ্ধাচারের নামে বিপরীত প্রস্তাব দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।
[৪] কাদের বলেন, করোনায় আক্রান্তদের সনাক্তে প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন সারা দেশে ১ হাজার ও প্রতিটি উপজেলায় ২টি করে নমুনা পরীক্ষার নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকার এই সংক্রমণে অন্য দেশের তুলনায় নিয়ন্ত্রণে রাখায় ফখরুলরা ব্যথিত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে হয়তো তারা খুশী হতেন। এতে মনে হয়, তিনি গণিতের সাধারণ সূত্রই জানেন না।
[৫] তিনি আরো বলেন, মির্জা ফখরুল যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন তা আমাদের অর্থনীতির উর্ধ্বগামী সম্ভাবনার বিপরীত। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য জনগণকে শুধু হতাশই করতে পারে। এডিবির এক অর্থনীতিবিদ যেখানে বলেছেন, এই সংকটেও এশিয়ায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থ বছরে সর্বোচ্চ হবে। সেখানে জনগণকে বিভ্রান্ত করার এই প্রস্তাব সংকট আরও ঘণীভূত করবে।
[৬] শনিবার ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ বক্তব্য রাখেন।