মাসুদ রানা : ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর বাঙালি জাতির প্রথম সংগঠন হচ্ছে মুক্তিবাহিনী, যা হবিগঞ্জের তেলিয়াড়ায় ৪ এপ্রিল গঠিত হয় ‘পাপা টাইগার’ কর্নেল (অব.) আতাউল গণি ওসমানীর নেতৃত্বে। মুক্তিবাহিনী আজ আর বেঁচে নেই। স্বাধীনতার পর বাঙালির গর্বের মুক্তিবাহিনীকে হত্যা করেছে মুক্তিবাহিনীরই সংগ্রামে অর্জিত ও প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। আজ মুক্তিযোদ্ধা নামে প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি ‘মুক্তিযোদ্ধা’ আছে বাংলাদেশ, কিন্তু মুক্তিবাহিনী নেই। আজ ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’র বাগ্মিতা আছে, কিন্তু বাহক সেই বাহিনী নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্লাব আছেÑ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ক্লাবিংয়ের জন্য। কিন্তু জাতির কাস্টোডিয়ান হিসেবে সেই বাহিনী নেই। মুক্তিবাহিনীকে বিলুপ্ত করা হয়েছে তারই রক্তে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে। মুক্তিবাহিনীকে ভেঙে দেওয়া, বিলুপ্ত করা তথা হত্যা করার সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য কী তা বুঝতে পারার মতো ঐতিহাসিক বোধ, বুদ্ধি ও দার্শনিক ক্ষমতা বাঙালি জাতির নেতৃত্বের ছিলো না এবং সম্ভবত আজও নেই।২. ‘মরুক কোটি, আমরা লুটি’। আমি এমন অনেক মানুষকে বলতে শুনেছি যে, বাংলাদেশে নাকি প্রয়োজনের অতিরিক্ত মানুষ হয়ে গেছে। তাদের বলতে শুনেছি, কয়েক কোটি মানুষ মেরে ফেলা উচিত। জনসংখ্যাকে অভিশাপ মনে করা যে ব্যক্তি কয়েক কোটি বাঙালি মেরে ফেলার প্রস্তাব করেছিলেন, তাকে যখন জিজ্ঞেস করেছিলাম সেই কয়েক কোটির মধ্যে তার নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে কিনা, তখন তিনি চুপ হয়ে গেলেন। এমনও হতে পারে যে, কেউ কেউ চাচ্ছেন বাংলাদেশে লাখে লাখে মানুষ মরুক আর সে মৃত্যুর ব্যাপ্তি ও ভয়াবহতা নিরীখে বিদেশ থেকে সাহায্য আসুক মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার, যা ‘প্রোসেস’ করে আবার বিদেশের ব্যাংকে জমা করা যাবে। তাদের অনুচ্চারিত নিঃশব্দ মন্ত্র হচ্ছেÑ ‘মরুক কোটি, আমরা লুটি’। ০১/০৪/২০২০, ল-ন, ইংল্যা-
আপনার মতামত লিখুন :