শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ০৩ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫০ দুপুর
আপডেট : ০৩ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা রক্ষীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

কামাল হোসেন, গোয়ালন্দ প্রতিনিধি: [২] উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. সাইফুল ইসলাম (৪৫)কে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অগ্নিদগ্ধ করে হত্যার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী গুলশান আরা বাদী হয়ে ১লা এপ্রিল গোয়ালন্দ ঘাট থানায় হত্যা মামলা (মামলা নং-০১, ধারা. ৩০২/৩৪ দ.বি.) দায়ের করেছেন।

[৩] রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসিফ মাহমুদ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা রক্ষী তরিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

[৪] মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম ২৬ মার্চ আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনের দ্বিতীয় তলার নিজ কক্ষে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় এবং পরেরদিন ২৭ মার্চ সকাল ৮.৫৫ মিনিটে তিনি মারা যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই তার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়।

[৫] পরবর্তীতে ২৮ মার্চ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গুলশান আরা ও অন্যান্য স্বজনরা গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবনের সামনে যান এবং ডা. আসিফ মাহমুদকে বার বার অনুরোধ করলেও তিনি ভবনের দ্বিতীয় তলার কক্ষটি তাদেরকে দেখাতে ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখাতে এমনকি সাইফুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোটর সাইকেলটিও দিতে অস্বীকৃতি জানান। নিরাপত্তা রক্ষী তরিকুল ইসলামের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রকাশ করেন, সে কোথায় আছে জানি না।

[৬] উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, সাইফুল ইসলাম অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর ডা. আসিফ মাহমুদই নাকি তাকে উদ্ধার করেন। কিন্তু তার স্ত্রী গুলশান আরাকে না জানিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে গুলশান আরা বিষয়টি জানতে পেরে তার বড় ভাইয়ের মাধ্যমে আসিফ মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফেরিতে আছেন বলে জানান।

[৭] পরবর্তীতে গুলশান আরার ঢাকায় অবস্থানরত ছোট ভাই যখন সাইফুল ইসলামকে দেখতে যান তখন তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল এবং কথা বলার মত শক্তি ছিল না । কিন্তু গুলশান আরার বড় ভাইয়ের সাথে আসিফ মাহমুদ মোবাইলে কথা বলার সময়ও তিনি সাইফুল ইসলামের গলার স্বর শুনতে পেয়েছেন। এতে গুলশান আরার দৃঢ় বিশ্বাস, সাইফুল ইসলামকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসিফ মাহমুদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা রক্ষী তরিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা সহযোগিদের সাথে গভীর ষড়যন্ত্র করে অগ্নিদগ্ধ করে মেরে ফেলেছে।

[৮] তরিকুল বেশ কিছুদিন ধরে সাইফুল ইসলামের উপর নজরদারী করছিল এবং যার কারণে সাইফুল সব সময় মন খারাপ করে থাকতো এবং স্ত্রী গুলশান আরার কাছে দুশ্চিন্তার কথা বলতো। এখন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা ও বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কথা বলে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়