শিরোনাম
◈ বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো সরকারের প্রধান কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ উপজেলায় ভোট কম পড়ার বড় কারণ বিএনপির ভোট বর্জন: ইসি আলমগীর  ◈ আত্মহত্যা করা জবির সেই অবন্তিকা সিজিপিএ ৩.৬৫ পেয়ে আইন বিভাগে তৃতীয় ◈ কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন ◈ গোপনে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠাচ্ছে ভারত, জাহাজ আটকে দিয়েছে স্পেন ◈ দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন: ৬১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ◈ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৭১ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী, কোটিপতি ১১৬ জন: টিআইবি ◈ ৩ বাসে ভাঙচুর, ট্রাফিক বক্সে আগুন, গুলিবিদ্ধ ১ ◈ ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি-মোটরচালিত রিকশা চললেই ব্যবস্থা: বিআরটিএ ◈ বান্দরবানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত

প্রকাশিত : ০২ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০২ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে করোনার ছোবল কতো লঘু বা মারাত্মক হবে তার একটা চিত্র আমরা আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই পাবো

ডা. এম আবুল হাসনাৎ মিল্টন : সম্প্রতি একটি অখ্যাত নিউজ পোর্টাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বলেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে বিশ লাখ লোক মারা যাবে। অমনি শুরু হয়ে গেছে ফেসবুকে শেয়ার। আসলেই কী তাই? একেবারে বিশ লাখই মারা যাবে? একজন কম বা বেশি নয়? এই যে বিশ লাখ মারা যাবে বললেন, এটার ভিত্তিই বা কী? এটা কী তারা স্বপ্নে পেয়েছেন নাকি মিটিংয়ে বসে বা কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করেছেন? আসুন জেনে নিই এসব ভবিষ্যদ্বাণীর ভিত্তি কী? যখনি কোনো লোকালয়ে সংক্রামক রোগের মহামারী দেখা দেয়, তখন পরিসংখ্যানবিদ ও এপিডেমিওলজিস্টরা মিলে পরিসংখ্যানের সূত্র দিয়ে (সধঃযবসধঃরপধষ সড়ফবষষরহম ড়ভ রহভবপঃরড়ঁং ফরংবধংব) ওই রোগে কতোজন আক্রান্ত হবে সেই ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। এই প্রেডিকশন বা ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য গাণিতিক মডেলিংয়ে অনেকগুলো অনুমান ব্যবহার করা হয়। পুরো মডেলিংয়ের অ্যাকুরেসি নির্ভর করে এই অ্যাজাম্পশনসমূহের উপর। এটাকে আমি বলি গাণিতিক এক খেলা। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো নীতি নির্ধারকরা যাতে অসুখের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে একটা ধারণা পেতে পারে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন। আমি তাই মডেলিংভিত্তিক ভবিষ্যদ্বাণী পাঁচ লাখ না বিশ লাখ, তাতে আটকে না থেকে সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে সব প্রকার প্রস্তুতি নেওয়ার পক্ষে। এটা সরকারের জন্য একটা সুবর্ণ সুযোগও বটে। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম করোনায় বাংলাদেশে পাঁচ হাজার লোক মারা গেলো। দিনের শেষে সরকার তখন কৃতিত্ব দাবি করে বলতে পারবে তাদের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণেই তারা অসংখ্য প্রাণহানি কমাতে পেরেছে।বাংলাদেশে করোনার ছোবল কতো লঘু বা মারাত্মক হবে তার একটা চিত্র আমরা আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই পাবো বলে আমার নিজস্ব ধারণা। সাধারণত, একটা দেশের বা লোকালয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো অসুখের মহামারীর মাত্রা নির্ধারণ করে তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তবে কোনো লোকালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি প্রকৃত অবস্থা নিয়ে লুকোচুরি খেলে সে ক্ষেত্রে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ইতালিতে গুরুতর আকার ধারণ করার এক সপ্তাহ আগেও সে দেশের সরকার সমস্যাটিকে গুরুত্ব দেয়নি। সে দেশের মন্ত্রীরা বারবার বলেছে, অর্থনীতির চাকাকে তারা থামতে দেবে না। মন্ত্রীরা বিশাল জনসমাবেশে গিয়ে সবার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করে বোঝাতে চেয়েছে, ভয়ের কিছু নেই, উন্নয়নের গতি থামতে দেওয়া যাবে না (প্লিজ, সি অ্যাটাচড)। বাকিটা তো ইতিহাস, আজ সারা পৃথিবীই জানে। বাংলাদেশের জন্য সবসময় প্রাণ কাঁদে। মন বলে, করোনায় বাংলাদেশের কিছু হবে না। কিন্তু বিজ্ঞান এবং অন্য দেশের অভিজ্ঞতায় ভয় লাগে। মনে হয় যদি করোনা ঝড় শুরু হয় বাংলাদেশ সামলাতে পারবে তো? তবু বাংলাদেশের জন্য শুভ কামনা। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়