প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক নির্মাণকারী বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরে এই রপ্তানি আয় হারাতে যাচ্ছে। আশঙ্কা দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের।
[৩] কোভিড-১৯'র ফলে নামিদামী বিদেশি কোম্পানি প্রতিদিন তাদের অর্ডার বাতিলই এর কারণ বলে মঙ্গলবার তারা জানিয়েছে।
[৪] একের পর এক শহর লক ডাউনের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার লাখ লাখ শ্রমিকের চাকরি হারানোর ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।
[৫] গত অর্থবছর মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশই পোশাক খাত থেকে এসেছে। যার পরিমান ছিল ৩৪.১২ বিলিয়ন ডলার।
[৫] বাংলাদেশ নিট ওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম জানালেন, বর্তমান ক্রাইসিসে আমাদের ক্ষতি ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। জুলাই পর্যন্ত সব অর্ডার হয় স্থগিত বা বাতিল হয়েছে। আর এভাবে চলতে থাকলে অনেক কারখানাই বন্ধ হয়ে যাবে।
[৬] জানা গেছে, গ্যাপ, জারা, প্রাইমার্কের মতো কোম্পানি অর্ডার বাতিল করেছে। এক বিবৃতিতে প্রাইমার্ক জানিয়েছে, তাদের সকল বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ থাকায় একমাসেই তারা ৮০৭.৮২ মিলিয়ন হারিয়েছে।
[৭] বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট রুবানা হক বলেছেন, প্রায় ১০৪৮ গার্মেন্টস কারখানার ২.৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য অর্ডার স্থগিত বা বাতিল হওয়ায় এর সঙ্গে জড়িত ২০ লাখ কর্মীর ওপর এর প্রভাব পরতে পারে।
[৮] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের মজুরি প্রদানে সহায়তার জন্য ৫৮৮ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড গঠনের কথা বলেছেন।
[৯] তবে এটি পর্যপ্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিজিএমইএর পরিচালক রেজওয়ান সেলিম। দেশের বৃহত্তম এ খাত রক্ষায় তিনি সরকার থেকে আরও প্রণোদনা আশা করেন।
[১০] অন্যতম শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রধান সিদ্দিকুর রহমান জানান, আমরা এক শোচনীয় অবস্থার মধ্যে আছি। কেউই জানে না এটা কত দিন চলবে। তবে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা যেন ফ্যাক্টরিগুলো সচল থাকে।
[১১] প্রসঙ্গত, দেশের প্রায় ৪ হাজার ফ্যাক্টরিতে ৪০ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করে যাদের অধিকাংশ নারী। সূত্র : রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :