শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল, ২০২০, ০৭:৪৬ সকাল
আপডেট : ০১ এপ্রিল, ২০২০, ০৭:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনা-আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে গেলে কী চিকিৎসা দেয়া হয়!

সেরীন ফেরদৌস, ফেসবুক থেকে : চিকিৎসাসেবার একটা ভাগ হচ্ছে, ওষুধ/সার্জারি দিয়ে সুস্থ করে তোলা (কিউরেটিভ)। আর আরেকটা ভাগ হচ্ছে, রোগীকে নানাভাবে সাপোর্ট দেয়া যাতে রোগীর শরীর নিজেই নিজেকে ভালো করে তুলতে পারে (সাপোর্টিভ)। করোনা রোগের এখন পর্যন্ত কোনো কিউরেটিভ চিকিৎসা নেই, ওষুধ দিয়ে সুস্থ করার কিছু নেই। আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেবার পর দেয়া হয় সাপোর্টিভ চিকিৎসা, যেটা শুরুতে এবং বেশিরভাগ সময়ই ঘরেই দেয়া সম্ভব।

হাসপাতাল মূলত তার অন্য অসুখগুলো (কো-মরবিডিটি) ম্যানেজ করে। তার শরীরের জন্য যখন যেটা দরকার, সেটাই তার জন্য করে। যথাযোগ্য পুষ্টি ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করে, যাতে শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালি হয় ও নিজেই যুদ্ধ করতে পারে করোনার বিরুদ্ধে। হাসপাতাল নিয়মিত ব্লাডপ্রেশার, ডায়াবেটিস/ অক্সিজেন চেক, ইনফেকশন কন্ট্রোল, কিডনির/ ক্যান্সার/ হার্টের চিকিৎসা, মুখে খেতে না পারলে অন্য উপায়ে শরীরে খাবার দেয়া, রক্তের নানা উপাদানের ব্যালান্স বজায় রাখা ইত্যাদি করতে থাকে। জ্বর/ বমি/ কাশির ওষুধ, ডায়রিয়ার ওষুধ দেয়। সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি, খাবার, আইসোলেশন ইত্যাদি তো আছেই।

আর জরুরি অবস্থায় অর্থাৎ প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে করোনা-রোগী হাসপাতালে যাওয়ামাত্র তাকে আলাদা কক্ষে সিকিউরড করা, মাস্ক দেয়া ও কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের (আর্টিফিশিয়াল ভেন্টিলেশন) এর ব্যবস্থা করা হয়। রোগী যেন আরো একটি দিন বেশি টিকে থাকে ও তার শরীর করোনাকে পরাস্ত করার দরকারি এন্টিবডি বানাতে সক্ষম হয়! অক্সিজেন দেয়াটা আরো গুরুত্বপূর্ণ এইজন্যে যে, পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পেলে আগে থেকে দুর্বল হয়ে থাকা রোগীর কিডনি, হার্ট, চোখ, ব্রেইন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নষ্ট হয়ে যেতে থাকে ও রোগী মারা যায়। এজন্যেই বলা হয়, করোনা বয়স্কদের জন্য বেশি রিস্কি!

এখন হাসপাতালের আইসিইউতে ভেন্টিলেশনের যে মেশিনটি থাকে, সেটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি মেশিন। সাধারণ অবস্থায়, খুব কম রোগীকেই সেখানে নিতে হয় বলে, এই মেশিন বেশি সংখ্যায় পৃথিবীর কোনো হাসপাতালেই থাকে না। থাকার দরকারও হয় না। কিন্তু অত্যন্ত ছোঁয়াচে এই করোনা যদি কো-মরবিডিটিওয়ালা অনেক মানুষকে একসাথে আক্রমণ করে, তবে তাদের জন্য একসাথে প্রচুর ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করা অসম্ভব। উন্নত দেশেও সেটা অসম্ভব! তাই মৃত্যুর হার এত বেশি, এমনকি উন্নত দেশেও! তাই করোনার উপসর্গ আছে, অথবা করোনা-সনাক্তকৃত রোগীকে তার বাসাতেই শুরু থেকে সব ধরনের সাপোর্ট দিয়ে রাখা দরকার যাতে হাসপাতাল পরযন্ত যেতে না হয়।

যেমন, ডায়াবেটিসের রোগী নিয়মিত তার ব্লাড সুগার মেইনটেইন করবে, প্রেশার/থাইরয়েডের/কিডনির রোগীটি নিয়মিত ওষুধ খাবে, মোদ্দা কথা নিজেকে যতোটা সম্ভব কন্ট্রোলে রাখবে। অন্যান্য অর্গানগুলো সুস্থ থাকলে শরীর খানিকটা সময় পাবে এবং শরীরের এন্টিবডি তখন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়ী হবে। তবে অবশই রোগীর অবস্থা অনুযায়ী হাসপাতালে যেতে হবে!

লেখক : কানাডায় কর্মরত কমিউনিটি নার্স, সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়