মাহফুজুর রহমান : আগামী যে ক্রিটিক্যাল টাইম আসছে তাকে ট্যাকেল দিতে আওয়ামী লীগকে লুটপাট বাদ দিতে হবে, সর্ব দলীয় সরকার করতে হবে, ক্রাইসিস মোকাবেলায় সব দলের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। আর আওয়ামী লীগ একাই যদি তা করতে যায়, আদৌ তাদের তাদের পক্ষে তা সম্ভব হবে না, কারণ ক্ষমতার বাইরে যারা থাকবে তারা নানা দিক থেকে ডিস্টার্ব করবে। একটি এনার্কিক সিচুয়েশন তৈরি হতে পারে। করোনা মোকাবেলা করার জন্য আমাদের সরকারের পর্যাপ্ত চেষ্টা নেই, বরং বেসরকারি উদ্যোগে তেজগাঁও-এর যে হাসপাতাল হচ্ছিলো সেটাকেও ভাঙচুর করে বাধা দিয়েছে সরকারি দলের লোকেরাই, তবে আওয়ামী সরকার এটা নিয়ে আর এগোয়নি। অন্য কোনো দেশপ্রেমিক সরকার হলে সেই ওয়ার্ড কমিশনারকে পিঠ মোড়া করে বেঁধে রাখতো। করোনা খুব সহজেই এই ঘিঞ্জি জনগোষ্ঠীর দেশ থেকে চলে যাবে বলে মনে হয় না, ঘুরেফিরে অনেক লংজিবিটি করবে। করোনার ইনকিউবেশন পিরিয়ডের কথা অনেকেই বলেন, কিন্তু ঘিঞ্জি জনগোষ্ঠীর দেশে এটা তো ঘুরেফিরেই ইনকিউবেশন হবে। দেশের এক প্রান্তে কিছুটা উন্নতি হবে আবার অন্য প্রান্তে তা আবার অবনতি হবে। কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক এই জনগোষ্ঠী একটি চোরাবালির মধ্যে প্লাঞ্জ হবে। এখন যে সব হাতুড়ে চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে তা মোটেই টিকবে না। ইউরোপ আমেরিকার কোনো দেশ অবশ্যই এর ভ্যাকসিন বের করবে, যা হবে খুব কস্টলি, কারণ তারা বিজিনেস করবে। হয়তো তারা লোন দেবে এ সব কেনার জন্য, তবে লোনের বেড়াজালে বন্দি হবে দেশ।ওহ হ্যাঁ যারা ইউরোপ-আমেরিকা থেকে করোনা ভয়ে ফিরে এসেছে তাদের পুনরায় সে সব দেশে গমন করা খুব টাফ হবে। কারণ তারা ফিরতি কর্মীদের নিতে গড়িমসি করবে। নানা টেস্টের ফান্দে ফেলে দূতাবাসগুলো অর্থ কামাবে। আর পোশাকের কাটিং মেকিং অর্ডারগুলো অন্যদিকে মুভ করবে, বেকার হবে বিশাল একটি জনগোষ্ঠী, তারা আইন ভঙ্গ করবে অবলীলায়, আর সর্ব দলীয় সরকার যদি না হয় তাহলে সেই উদ্ভূত সিচুয়েশনকে ট্যাকেল দেওয়া দুরূহ হবে। হয়তো কেউ কেউ দিল্লির সহযোগিতার চিন্তা করতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হলো ইন্ডিয়াই নিজেদের সেই সিচুয়েশনকে ট্যাকেল দিতে পারবে না, বরং তাদের অনেক রাজ্য স্বাধীন হতেও পারে। হ্যাঁ তখন সেই সিচুয়েশনে শেখ হাসিনার হয়তো মনে পড়বে পেছনের নানা বেহিসেবী খরচাপাতির কথা। ৪০০ কোটি টাকার আতশবাজি ফোটানোর কথা, নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সরকারি প্রশ্রয়ে লুটপাট হওয়ার কথা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :