শিরোনাম
◈ তারেক রহমানের জন্য বাসভবন, অফিস প্রস্তুত ◈ লাগেজ না খুলেই বিস্ফোরক শনাক্ত: বিমানবন্দরে বসছে ইটিডি মেশিন ◈ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে মিশন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ◈ হাদিকে গুলি, তদন্তে উঠে এলো আঁতকে ওঠার মতো তথ্য  ◈ মুসলিমদের ভোটাধিকার বঞ্চিত করতে ভারতে ভোটার তালিকা সংশোধন  ◈ হাদিকে হত্যাচেষ্টা: শ্যুটার ফয়সালের মা-বাবা গ্রেপ্তার ◈ বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা ◈ সিঙ্গাপুরে হাদির চিকিৎসা: সর্বশেষ পরিস্থিতি জানালেন ভাই ওমর বিন হাদি ◈ ইউরোপযাত্রায় নৌকাডুবি: মাল্টার কাছে উদ্ধার ৫৯ বাংলাদেশিসহ ৬১ অভিবাসী ◈ হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে আদালতে নতুন তথ্য দিল কবির

প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০২০, ১১:৪৪ দুপুর
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২০, ১১:৪৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনার অজুহাতে, কালিয়াকৈরে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো থেকে রোগী ফিরিয়ে দিচ্ছে

ফজলুল হক, কালিয়াকৈর প্রতিনিধি : [২] গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সকল প্রাইভেট হাসপাতালগুলো কর্তৃপক্ষ করোনা ভাইরাসের অজুহাতে সাধারণ রোগিদের চিকিৎসা সেবা না দিয়েই রোগি ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েকদিনে শত শত রোগি উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক ক্লিনিকে গিয়ে তাদের রোগের বিষয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকে ডাক্তার না আসার কারণ দেখিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

[৩] সোমবার খোঁজ খরর নিয়ে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলার সর্বত্র সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা সচেতনা বাড়াতে টহল দিচ্ছেন। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ ঔষধের দোকান ও প্রাইভেট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে জেল জরিমানার করানোর ফলে অধিকাংশ হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।

[৪] করোনা ভাইরাসের কারণে অঘোষিত লকডাউনের ফলে সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত। সাধারণ মানুষও ঘর থেকে খুব একটা বের হচ্ছেন না। ফলে হাসপাতালগুলোদেও রোগির সংখ্যা কমেছে। তাই জরুরি বিভাগে একজন লোক রেখেই সব বিভাগ বন্ধ করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই সব হাসপাতালে আসা রোগিরা চিকিৎসা সেবা না পেয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে।

[৫] এতে রোগির স্বজনেরা রোগিকে ঢাকা নিয়ে যেতে নানা দুঃচিন্তা আর নানা ভোগান্তিতে পড়েন।

[৬] কালিয়াকৈর সাহেব বাজার এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মজিদ মিয়া জানান, শনিবার আমার এক আতœীয় নারী রোগিকে সিজার করানোর জন্য প্রথমে ডাক্তার আজহার হালিমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কোন চিকিৎসক না থাকায় পরে শুভেচ্ছা ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানেও রোগি ভর্তি করা হয় না। তিনি কোন উপায় না পেয়ে রোগিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।

[৭] সফিপুর পূর্বপাড়া এলাকার সিদ্দিকুর রহমান জানান, এক শিশুকে সফিপুর তানহা হাসপাতালে শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নিয়ে যাই। সেখানের এক কমপাউন্ডার তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা না করেই ঢাকার শিশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে আমরা হতাশায় পড়ে যাই।

[৮] ডাক্তার আজহার হালিমা হাসপাতালের ম্যানেজার আব্দুল মান্নান জানান, সারাদেশেই করোনা সংক্রামক ছড়িয়ে পড়ার আতংকে ঢাকা থেকে কোন চিকিৎসকরা আসছে না। তাই রোগি ভর্তি করা হচ্ছে না।

[৯] তানহা হাসপাতালের ম্যানেজার মোঃ মোস্তাফা জানান, রোগি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা জানা নেই।

[১০] উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার প্রবীর কুমার সরকার জানান, প্রত্যেক প্রাইভেট হাসপাতালে একজন করে দিনরাত আবাসিক ডাক্তার থাকার কথা রয়েছে। এই দুর্দিনে যদি কেউ আবাসিক ডাক্তার না রাখে প্রমাণ পেলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়