শাহীন খন্দকার : [২] কোভিড-১৯ আক্রান্ত সন্দেহে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি একই পরিবারের ৫ জনকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ফেরত পাঠিয়েছেন রংপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা যায় ঐ ৫জন ঠাকুরগাঁওয়ের একই পরিবারের সদস্য। তাদের বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। রবিবার রাতে তাদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মোঃ রকিবুল আলম। তাদের প্রত্যেকের অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতির দিকে বলেও জানান তিনি।
[৩] প্রসঙ্গত, ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নে আড়াই বছরের এক শিশুসহ একই পরিবারের ৫ জন জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন তাদেরকে শনিবার সন্ধ্যায় পরিক্ষা নিরিক্ষার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠায়। রাইজিংবিডি,
[৪] শরীরে জ্বর নিয়ে ঢাকা থেকে ট্রেন যোগে ঠাকুরগাঁওয়ে এসে পাঁচদিন ধরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নে তার নিজ বাসায় অবস্থান করছিলেন ওই পরিবারের কর্তাব্যক্তি। বাসায় আসার পর তার শরীরে জ্বরের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। এর সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। একই সমস্যা দেখা দেয় তার স্ত্রী ও ছোট্ট শিশু সন্তানটিরও।
[৫] আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির বরাতে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানান, ঢাকা থেকে ফেরার পূর্বে সেখানে লোকজনের সাথে একটি পিকনিকে অংশ নিয়েছিলেন ওই আক্রান্ত ব্যক্তি। পিকনিকে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কারো সংস্পর্শে আসার পরই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন।
[৬] এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ মোঃ রকিবুল আলম জানান, রংপুর মেডিকেলে পাঠানোর পর তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এর সদস্যরা। নমুনা তারা ঢাকায় প্রেরণ করেছে ঢাকা থেকে রিপোর্ট আসার পর তাদের বিষয়ে করণীয় বলা যাবে। বর্তমানে পরিবারের ৫ জনকে সদরের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। জাগোনিউজ