মহসীন কবির, তপু সরকার : [২] শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ পলাশীকুড়া গ্রামে আওয়াল পাগলা নামের এক নির্মাণ শ্রমিক জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে তিন দিন ভোগার পর রবিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে মারা গেছেন। সোমবার (৩০ মার্চ) তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে শেরপুরের সিভিল সার্জন।
[৩] করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ওই বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। নমুনা সংগ্রহের পর ওই ব্যক্তির দাফন ও জানাজা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনওয়ারুর রউফ।
[৪] ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গত তিন দিন আগে ওই ব্যক্তি জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে নালিতাবাড়ীর গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন ইউএনও আরিফুর রহমান। ভালুকায় তিনি নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা যায়।
[৫] এদিকে মৃত ব্যাক্তির জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে ধারণা করছেন গ্রামবাসী। তবে ওই পলাশীকুড়া গ্রামের ইউপি সদস্য নুরুল হক তার পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আব্দুল আওয়াল অনেক আগে থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। ছুটিতে বাড়ি আসার পর হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট ও জ্বর বেড়ে যাওয়ায় নিজ বাড়িতেই তিনি মৃত্যু বরন করেন। এতে গ্রামবাসী তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে সন্দেহ করলে কিছুটা আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টিকে আমলে নিয়ে নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ নেন।
[৬] এব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, আমরা স্থানীয় ভাবে নমুনা সংগ্রহ করেছি। রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে ওই ব্যাক্তির করোনা ছিল কিনা। যদি রিপোর্ট পজিটিভ হয় তবে ওই বাড়ীগুলো লকডাউনে থাকবে ১৪ দিন আর নেগেটিভ হলে লকডাউন উঠে যাবে। আর মৃতদেহ আইইডিসিআর এর নির্দেশনা মেনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ