সুজন কৈরী : [২] করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১০দিনের সাধারণ ছুটি শুরু হয়েছে। ফলে রাজধানী এখন ফাঁকা। যা চিরচেনা ঢাকার অন্য রূপ। তবে এখনো পুরোপুরি সচেতন নন নগরবাসী। এমনকি পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেও অনেকে অবাধে চলাফেরা করছেন। এরপরও সড়কে জনসমাগম ঠেকাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তৎপরতা রয়েছে চোখে পরার মতো।
[৩] রাজধানীর টোলারবাগে করোনায় দুইজনের মৃত্যুর পর এলাকার বাসিন্দাদের চলাচল সীমিত করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এরপরও সচেতন নন স্থানীয়রা। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবাধে চলাফেরা করছেন।
[৪] এদিকে করোনাভাইরাস থেকে রাজধানীবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও পুলিশ। গত ২৫ মার্চ থেকে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের নির্দেশনায় প্রতিদিন ৮টি ওয়াটার ক্যানন দিয়ে ডিএমপির ৮টি ক্রাইম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে প্রথম পালায় সকাল ১০টা থেকে ১২টা এবং ২য় পালায় বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটাচ্ছে। যা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চলবে।
[৫] ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ওয়াটার ব্রাউজারে করে প্রতিদিনি তিনবার করে বিভিন্ন সড়ক, প্রতিষ্ঠানের সামনে, উন্মুক্ত স্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে শুরু করেছে।
[৬] শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মগবাজার ওয়ারলেছ এলাকায় ডিএনসিসির একটি গাড়ী থেকে সড়কে জীবাণুনাশক ছিটাতে দেখা যায়। এ সময় স্থানীয় একজনকে বলতে শোনা যায়, এটি সরকারের ভালো উদ্যোগ।
[৭] স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম করোনার ঝুঁকি এড়াতে সাধারণ মানুষকে বাড়িতে থাকার পাশাপাশি নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাচলের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই ভাইরাসের মোকাবেলা করার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হচ্ছে আলাদা থাকা, বাড়ি ঘরে থাকা এবং একজন আরেকজনের সঙ্গে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখা।