শিরোনাম
◈ সাতরাস্তায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ ◈ আঞ্চলিক হুমকি নিয়ে ভারতের সতর্কবার্তা: বাংলাদেশে মৌলবাদ, চীন সীমান্ত অচলাবস্থা ও পাকিস্তানের ভূমিকা ◈ ইরানে অনুপ্রবেশ করে নারী মোসাদের দুর্ধর্ষ অভিযান (ভিডিও) ◈ চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লিগ, বরুশিয়ার নি‌শ্চিত জয় রুখে দিলো জুভেন্টাস ◈ দূর্গা পুজাতে ভারতে গেল ৮ ট্রাক ইলিশ ◈ এমবাপ্পের দুই পেনাল্টি গোলে চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লি‌গে রিয়াল মাদ্রিদের শুভ সূচনা ◈ যে কারণে শিবির ক্যাম্পাসে জিতছে, সেই কারণেই বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে জিততে পারে: দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ ◈ টানা দুই হা‌রের পর জ‌য়ে ফির‌লো মেসির ইন্টার মায়ামি ◈ করমর্দন বিতর্কে সুনীল গাভাস্কার - ক্রীড়া এবং রাজনীতি কখনোই আলাদা ছিল না  ◈ সীমানা পুনর্নিধারণ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে নির্বাচন কমিশন

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২৭ মার্চ, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চলুন পহেলা বৈশাখের ভাতার টাকাটা সব সরকারি চাকরিজীবীরা সাধারণ গরিব মানুষের কল্যাণে খরচ করি

শেখ আদনান ফাহাদ : যতোটা স্বার্থপরের মতো রাস্তা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম, ততোটা স্বার্থপর নই আমি। আমরা কেউই নই। ইচ্ছা করে রাস্তার সব রিকশাওয়ালাকে ডেকে হাতে কয়েক হাজার করে টাকা গুঁজে দিই। ইচ্ছা করে রাস্তার টং দোকানিকে বাসায় ডেকে পেটভরে খাইয়ে দিই। ইচ্ছেকরে রাস্তার ট্রাফিক সিগন্যালের ভিক্ষুককে, হকারকে অনেক চাল, ডাল কিনে দিই। কিন্তু এই মহানগরে আমার এই ইচ্ছাটাই সব নয়। ফেসবুক পোস্ট তো লাইক পাওয়ার বাহানা মাত্র। আমি জানি এতে কারও একটা চুলও ছেঁড়া যাবে না। এমন এক চাকরি করি, আরও কয়েক মাস অফিসে না গেলেও বেতন চলে আসবে ব্যাংকে। সবাই তো আমার মতো ভাগ্যবান নয়। একজন রিকশাওয়ালার কীভাবে সংসার চলছে। কীভাবে চলছে একজন মুচির সংসার। সিগারেট বিক্রেতা, চাওয়ালা, পান বিক্রেতা, এমনকি একজন পকেটমারের? ছুটা বুয়া, পত্রিকাওয়ালা, দুধওয়ালা কী করবেন এখন? কতো দোকান বন্ধ থাকবে, কতোদিন বন্ধ থাকবে কেউ জানে না। এই লকডাউন আমি চেয়েছিলাম, আমরা চেয়েছিলাম। উপায় ছিলো না।
করোনা আমাদের করুণা করবে না। তাই সব কিছু বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলাম। এই মানুষগুলোর এখন কী হবে? আমরা তো এতো আরামে আছি যে পহেলা বৈশাখের ভাতা পর্যন্ত ব্যাংকে চলে এসেছে। এবার পহেলা বৈশাখের বিলাসিতা নিশ্চয় দেখাবেন না কেউ। তাহলে চলুন পহেলা বৈশাখের ভাতার টাকাটা আমরা সব সরকারি চাকরিজীবীরা সাধারণ গরিব মানুষের কল্যাণে খরচ করি। প্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে কোনো জরুরি তহবিল হলে যেখান থেকে নেত্রীর তত্ত্বাবধানে গরিব মানুষগুলোকে খাবার দেওয়া হবে সেখানে আমি আমার পহেলা বৈশাখের ভাতা ফেরত দিতে রাজি আছি। সরকার নিজে থেকে কেটে রাখলেই ভালো হতো। কিন্তু আমার মতো অনেকের বেতন হয়ে গেছে। ব্যক্তিগতভাবে কিছু টাকা দিলে কোনো আছর পড়বে না। সমাজের কোটি কোটি টাকার মালিকরা যখন নিজেদের অর্ডার বাতিল নিয়ে জনমত তৈরিতে ব্যস্ত তখন আমাদের মতো সীমিত আয়ের মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়