সুজিৎ নন্দী : [২] পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় কমিটির নেতৃত্বে সারা দেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করার জন্য আমার মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সবাই সম্মিলিতভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে কাজ করছে। তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় জনগণের পাশে আছি।
[৩] আজ বৃহস্পতিবার মিরপুরে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে ওয়াটার ব্রাউজারে জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ সময় ডিএনসিসির নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।
[৪] তিনি বলেন, গতকাল জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা দিয়েছেন। জনগণের পাশে থেকে করোনা ভাইরাস রোধে আমরা সবাই কাজ করছি।
[৫] তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা এলাকায় যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তারা যেন ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন সে বিষয়ে স্থানীয় প্রতিনিধিরা কাজ করছেন। এ জন্য প্রতিটি এলাকায় একটি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে প্রচুর লোকজন গ্রামে গেছেন। তারা যেন তাদের পরিবারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
[৬] মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উত্তম পন্থা হলো আলাদাভাবে থাকা। ঘর থেকে বের না হওয়া। একজন আরেকজনের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি এই রোগে আক্রান্ত হয় আর তার সঙ্গে কেউ মেলামেশা না করলে ভাইরাসটি ছড়াতে পারবে না।
[৭] মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আমার এখতিয়ারে যে বিশেষ বরাদ্দের সুযোগ রয়েছে সেখান থেকে গতকাল ১২টি সিটি করপোরেশন, ৩২৮টি পৌরসভা ও ৪৯২টি উপজেলা পরিষদের জন্য ৩৩ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধকল্পে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ টাকা ব্যায় করা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :