ফরহাদ আমিন, টেকনাফ প্রতিনিধি: [২] মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রিত শরনার্থী শিবিরগুলোতে করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে রোহিঙ্গারা।জাদিমুড়া শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরে কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গে।
[২] জাদিমুড়া ২৬নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কালা মিয়া মাঝি বলেন, ‘কাজ কর্ম করার আগে বা খাওয়ার সময় হাত, কাপড় পরিষ্কার তাকার জন্য আরা বেশি বেশি হইর।’
[৩] শালবাগান ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা মোহাম্মদ হাশেম বলেন, ‘হঠাৎ গুড়া দুনিয়ার মাঝে এই রোগ ইভা ছড়ায় পইজ্জে আরা ও টিভির খবর দেখির আঁরা বেশি ডরত (ভয়) আছি।
[৪] জাদিমুড়া ২৬ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি বজলু বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ব্যাপারে রোহিঙ্গারা অজ্ঞ। বেশি মানুষ আতঙ্কে আছেন। এরে কেউ কেউ হদ্দে করোনাভাইরাস গজব ও হারাবো জড়িয়া এই রোগ অর। ইনশাআল্লাহ আরা টু এই রোগ ইভা নয় বু। আল্লাহ কাছে বেশি বেশি নামাজ পড়ি দোয়া মাগির আরা সব সময় পরিষ্কার থাকির।
[৫] এখনও ক্যাম্পগুলোতে কেউ আক্রান্ত হয়নি। ক্যাম্পে যদি কেউ আক্রান্ত হয় তা মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়বে। এখানে সীমিত জায়গার ওপর বিশাল জনগোষ্ঠীর বসবাস। ক্যাম্পে স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মাইকিং করে সর্তকতা মূলক প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
[৬] কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা.মাহবুবুর রহমান বলেন,ক্যাম্প গুলোতে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।তবে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেন ইউনিটে বিদেশফেরত এক ব্যক্তিকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।এছাড়া এক পরিবারের চারজন রোহিঙ্গাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।তবে স্বাস্থ্যকর্মীরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।
[৭] উল্লেখ্য,বর্তমানে নতুন-পুরনো মিলিয়ে ১১লাখের বেশি রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ