সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস আমাদের দেশেও আঘাত করেছে। অতীতে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় বাঙালিরা সাহসের সঙ্গে সফল হয়েছে। এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো। সংকটকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দল ছিল এবং থাকবে। তাই বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করে ঢাকায় একাধিক, বিভাগীয় ও জেলা শহরে অন্তত একটি করে করোনা শনাক্তকরণ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
[৩] এতে আরও বলা হয়, দেশের প্রশাসন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে করোনা ভাইরাস থেকে জনগণকে রক্ষা করতে। তাদের এই আন্তরিকতাকে সাধুবাদ জানাই। তবে আমাদের সম্পদ সীমিত, প্রশিক্ষিত লোকবলের অভাব ও কার্যক্ষেত্রে বাস্তবায়নও নানা কারণে বিলম্বিত হয়। যেহেতু এখন জরুরি পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাই আতঙ্ক সৃষ্টিকারী এই রোগ প্রতিরোধে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্যোগ প্রতিরোধে গঠিত ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল পুনর্গঠিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সমন্বয় করে কাজ শুরু করা দরকার। বিশেষজ্ঞদের তথ্যানুযায়ী আগামী কয়েক সপ্তাহ দেশের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই রোগটি অন্য আক্রান্ত দেশের মতো আমাদের দেশেও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
[৪] রেোববার এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, জাসদ একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :