শরীফ শাওন : [২] সূত্র বলছে, ইতোমধ্যে ঘোষণা ছাড়াই অনেক তারকা হোটেল মালিকরা বন্ধ করছেন কার্যক্রম। অতিথি কমেছে ৯৫ শতাংশ, বিপাকে হোটেল মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবেতনে ও বিনা বেতনেও ছুটি দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। চলতি মাস পর্যবেক্ষণ করে অনেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন বলে জানা যায়।
[৩] তারকা হোটেল মালিকদের সংগঠন বিহা’র সেক্রেটারি মহসিন হক হিমেল জানান, অধিকাংশ হোটেল মালিকরা বলছেন নতুন করে রুম বুকিং দেয়া অতিথির সংখ্যা প্রায় শূণ্য। তারা জানান, সব মিলিয়ে তাদের ২, ৩ বা ৫টি করে রুম বুকিং রয়েছে। এত সল্প সংখ্যক বুকিং দিয়ে হোটেলগুলো পরিচালনার খরচ তোলা অসম্ভব।
[৪] মহসিন হক হিমেল বলেন, অন্যান্য বছরগুলোতে এ সময় হোটেলগুলোতে ৯০ শতাংশ রুম বুকিং থাকে। করোনা সঙ্কটে বর্তমানে তা গড়ে ৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
[৫] তিনি বলেন, দেশি বিদেশি ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠেছে তারকা হোটেলগুলো। এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ব্যবসা কেন্দ্রিক এবং পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে ৩-৫ তারকা হোটেলগুলো। করোনার মহামারি রোধে বন্ধ রয়েছে এসকল যাত্রীদের ফ্লাইট। পর্যটন এলাকাতেও জনসমাগম এড়াতে কাজ করছে পর্যটন পুলিশ। ঢাকা-কক্সবাজার বাস বন্ধ, সিলেট মৌলভিবাজারে পর্যটকদের জন্য রুম বুকিং বন্ধের নির্দেশে। এতে অস্তিত্ব রক্ষায় হুমকির মুখে পড়েছে হোটেল ব্যবসায়ীরা।
[৬] ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ও ভবিষ্যত কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, আগামী ২৪ মার্চ সকল হোটেল মালিকদের নিয়ে আলোচনায় বসব, সেখানে কার কি অবস্থা সেটা জানা হবে।
[৭] জানা যায়, ৫ তারকা প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলটিতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২ শতাধিক দেশি বিদেশি অতিথির বুকিং থাকলেও সঙ্কটময় সময়ের কারণে শতভাগ বাতিল করেছেন তারা। অন্যান্য তারকা হোটেলগুলোতেও রুম বুকিং বাতিল হয়েছে গড়ে ৯৫ শতাংশ।
[৮] করোনার প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বলা হচ্ছে করোনা আক্রান্তে উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। যার প্রভাব প্রতিটি ক্ষেত্রসহ পড়ছে তারকা হোটেলগুলোতেও।