এম. আমান উল্লাহ, কক্সবাজার প্রতিনিধি : [২] করোনার প্রভাবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে বন্ধ হয়ে গেছে সৈকতের সহস্রাধিক দোকান-পাট। শাটডাউন রয়েছে সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল, রিসোর্ট। যার ফলে বাধ্যতামূলক ছুটিতে ১০ হাজার কর্মচারি। তবে এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে আরও ৫০ হাজার কর্মচারী বেকার হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
[৩] এ কারণে পর্যটন খাতে প্রতিদিন ৬০ কোটি টাকা লোকসান বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে লোকসান হলেও দেশের স্বার্থে এটি সবাইকে মেনে নিতে হবে বলে মনে করছেন তারা।
[৪] টুয়াকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান জানান, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত; যেখানে দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটকের পদচারণা মুখরিত থাকতো প্রতিদিন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে সেই চিরচেনা সাগর তীর পাল্টে গেছে। এখন জনমানব শূন্য। প্রতিটি পয়েন্টে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা, বসানো হয়েছে চেকপোষ্ট। এদিকে এই অবস্থা চলতে থাকলে জেলার পর্যটন খাতে বড় একটা ধস নামার আশঙ্কা করছেন হোটেল মালিক সমিতির এ নেতা।
[৫] হোটেল বিলকিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমিনুল হক আমীন বলেন, আমরা নিরুৎসাহিত করছি পর্যটকদের না আসার জন্য। তবে পর্যটন খাতেও একটি বড় ধ্বস আসছে। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যটনের এই ভরা মৌসুমে প্রতিদিন কক্সবাজারে আসতেন ৫০ হাজারের বেশি পর্যটক। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার ছাড়িয়ে যেতো লাখের ওপরে। করোনা প্রভাবে এখন পর্যটন শুন্য কক্সবাজার। সম্পাদনা : রাকিবুল
আপনার মতামত লিখুন :