শিরোনাম
◈ এমপিদের পেনশন, গাড়ি কেনা নিয়ে ক্ষেপল এশিয়ার আরেক দেশের জেন-জি ◈ আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির ◈ ১৬ দিনে এলো ২০৪১০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় ◈ কিছু মহল এখনো নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ নির্বাচন পিআর এর মাধ্যমে হবে না, সেটা তো হবে সংবিধান সংশোধনের পরে: নজরুল ইসলাম  খান  ◈ এদেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল : বিবৃতিতে তারেক রহমান ◈ ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা  ◈ নোয়াখালীতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, চালক নিহত ও আহত ১২ ◈ আনুপাতিক ভোটপদ্ধতি ‘ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করবে’: রিজভী ◈ বাংলাদেশ আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না

প্রকাশিত : ২২ মার্চ, ২০২০, ০১:৫৭ রাত
আপডেট : ২২ মার্চ, ২০২০, ০১:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনা: অন্ধকার ঘরে সাপ ..

আহমেদ মূসা: আমাদের গ্রহের সবচেয়ে সেরাপ্রাণী মানুষ আজ ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে। বেশি বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশের মতো দেশগুলি। এসব দেশের সাক্ষাৎ শত্রু শুধু করোনা নয়, করোনাজনিত কুসংস্কারও। এমনকি সরকার ও তার কিছু মেশিনারি মানুষকে আহবান জানাচ্ছে মহামারীর মিছিলে সামিল হওয়ার জন্য।

বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের একাংশ করোনাভাইরাসের ভয়াবহতাকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে বলে মনে হয় না। এজন্য খুব ভয়ে আছি । আমার অর্ধেকেরও বেশি অকেজো ফুসফুসের চাহিদার কারণে, ঠান্ডা বলয় ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল ফ্লোরিডার টেম্পায়। এসেছি ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে।

আমাদের শহরে করোনা ভাইরাস প্রবেশের কথা শুনে ২ মার্চ থেকে আমি ও আমার স্ত্রী স্বেচ্ছায় ঘর-বন্দি হয়ে আছি। প্রবল সতর্কতাসহ একবারমাত্র ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম ওষুধের প্রয়োজনে। ফুসফুস, কান ও রক্ত চলাচলের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের রুটিন পরীক্ষা এবং বুকের ক্যাটস্ক্যান দরকার থাকলেও অতি প্রয়োজন নয় বলে সেগুলো পিছিয়ে দিয়েছি, যদিও আমার চিকিৎসা ও ওষুধ ফ্রি। অর্থাৎ, আমি বলতে চাচ্ছি, অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া, লোকসমাগম এড়িয়ে চলা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সব নিয়ম মেনে চলা উচিত। যাদের বাইরে যেতেই হচ্ছে তাদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি সাধ্যমত প্রতিরোধক সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত। বাংলাদেশের গরিব খেটেখাওয়া মানুষের প্রতিরোধক সরঞ্জাম কেনার সামর্থ নেই। করোনা ও উপবাসের হাত থেকে তাদের রক্ষার ভার সরকারকে নিতে হবে। চলমান লুন্ঠন ও অপচয়ের চিত্র দেখলে একথা সরকার বলতে পারবে না, যে সরকারের সামর্থ নেই। পশ্চিম বাংলার মমতা ব্যানার্জী পারলে বাংলাদেশ কেন পারবে না।

অন্ধকার ঘরে সাপ মানে সারা ঘরে সাপ। করোনা অনেকটা এমনই। সে জন্যই দরকার অতিরিক্ত সতর্কতা। করোনা এখন শুধু ব্যাধি নয়; মহামারী, মন্দা, বেকারত্ব, নৈরাজ্য ও হতাশার বাহক। আমরা চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি, যারা এই রোগকে অবহেলা করেছে তাদেরই দিতে হচ্ছে চরম মূল্য। মানবজাতি এমন সর্বগ্রাসী ও সর্বব্যাপী সংকটে আর পড়েনি। শ্রম ও সচেতনতা দিয়ে এবং ত্যাগ শিকার করে যত কমমূল্যে এর হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় ততই মঙ্গল। করোনা-উত্তর পৃথিবীতে চিন্তার ক্ষেত্র ও ভূমির সীমানাসহ অনেক হিসাব বদলে যাবে। হে পরম করুণাময় আল্লাহ, আমাদের সহায় হও ।

টেম্পা, ২০ মার্চ, ২০২০।
লেখক-সাংবাদিক আহমেদ মূসা সাপ্তাহিক বর্ণমালার উপদেষ্টা সম্পাদক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়