মো. রাফিউজ্জামান সিফাত: আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা ব্যাক্তিগত উদ্যোগে করোনা প্রতিষেধক তৈরিতে ১৪ মিলিয়ন ডলার ডোনেশনের ঘোষণা দিয়েছে, আর আলিবাবা হাসপাতালগুলোতে মেডিকেল সরঞ্জাম কিনতে দিচ্ছে ১৪৪ মিলিয়ন ডলার। মাইক্রসফটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের তৈরি গেটস ফাউন্ডেশন ১০০ মিলিয়ন ডলার ডোনেশনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চায়নিজ টেক জায়ান্ট বাইডু, টিকটক, হুয়াই সম্মিলিতভাবে প্রদান করছে ১১৫ মিলিয়ন ডলার। ফ্রান্সের টপ ফ্যাশন হাউজগুলো অর্থ সহযোগিতা দিচ্ছে। অ্যাপল সিইও টিম কুক ডোনেশনের ঘোষণা দিয়েছে। আমেরিকান রিয়েল এস্টেট আইকন ক্যান গ্রিফিন ৭.৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহযোগিতা দিয়েছে। আর বাংলাদেশে তিনজন রোগী শনাক্তের সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ টাকা দামের সার্জিক্যাল মাস্ক বিক্রি হচ্ছে চল্লিশ থেকে ষাট টাকায়। ফিল্টার মাস্ক আড়াইশ থেকে যে যেমন পারে।
সেনিটাইজার, সাবান, টিস্যু যে যেমন রাখতে পারে। ডেঙ্গুর সময় দেখেছি প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর প্রকৃত চেহারা। সরকার দাম নির্ধারণের আগে চারশ টাকার টেস্ট বারোশ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকিয়েছে। পেঁয়াজের সময় দেখেছি মজুদদারদের ক্ষমতা। সরকার কখনো একটা দেশকে একা সামাল দিতে পারবে না যদি না সেই দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যূনতম নাগরিক দায়িত্ব পালন না করে। কাস্টমার ঠকিয়ে খাওয়া আমাদের ব্যবসায়ীদের মজ্জায় ঢুকে গেছে বাংলাদেশে প্রচুর ভালো ভালো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের বার্ষিক আয় একশ মিলিয়ন ডলারেরও অধিক। দেশের কোম্পানি বাইরের দেশের সেরা ধনী, এমন উদাহরণ তো কম নয়। এই দেশের মানুষকে নিয়েই তো ব্যবসা। ধনীদের কাতারে নাম। জাতীয় দুর্যোগে দেশসেরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কি এগিয়ে আসতে পারে না? বিনামূল্যে মাস্ক, সেনিটাইজার, টেস্টিং কিটস, প্রটেক্টিভ কিটস, ডেঙ্গু রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত। কতোই আর দাম। হয়তো আপনাদের এক সপ্তাহের সার্ভিস চার্জে এ সবগুলোর খরচ উঠে যাবে। শত কোটি টাকা বিজ্ঞাপনের পেছনে খরচ না করে দুর্যোগের সময় দেশের মানুষের প্রতি সাহায্যের হাতটুকু বাড়িয়ে দিন, দেখবেন এই দেশের মানুষ ভালোবেসে একদিন দ্বিগুণ মুনাফা আপনাকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :