মো. রাফিউজ্জামান সিফাত: করোনায় সবচাইতে বেশি কোনো পেশার মানুষ যদি রিস্কে থাকে তারা ডাক্তার ও নার্স। করোনা নামক অদৃশ্য শত্রুর বিপক্ষে সরাসরি তারাই লড়ছে, সেবা দিয়ে রোগী পাশে থাকছে চব্বিশ ঘণ্টা যদিও অধিকাংশ হাসপাতালের ডাক্তারদের কাছেই নেই পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুপমেন্ট (পিপিই)। করোনা আক্রান্ত রোগী সামাল দেওয়া কঠিন। কারণ এখানে এমন এক রোগের বিরুদ্ধে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে যার পূর্ব অভিজ্ঞতা কারও কাছেই নেই। এমনকি টেস্টে পজেটিভ রেজাল্টের আগ পর্যন্ত রোগী নিজেও জানতে পারছে না সে করোনায় আক্রান্ত। শক্তিশালী কিন্তু দৃশ্যমান শত্রু সামাল দেওয়া সহজ, প্রসিডিউর জানা, কিন্তু করোনার মতো অজানা ভাইরাসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সেবা দিয়ে যাওয়া সত্যিকার অর্থেই সাহস ও অসম্ভব দায়িত্ববোধের কাজ। গত বছর ডেঙ্গু মৌসুমে আমরা ডাক্তার-নার্সদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা দেখেছি, মৃত্যুর তালিকায় ছিলো ডাক্তার, নার্স। এবার তো ডেঙ্গু চিকনগুনিয়ার পাশাপাশি আসছে করোনা। এখানকার হাসপাতালগুলোর আনাচে-কানাচে হরেক রোগীর কফ থুথু পানের পিকে সয়লাব, দেয়ালে দেয়ালে রোগীর আত্মীয়দের মূত্র। করোনা ডেঙ্গুর প্রতিরোধের প্রধান শর্ত পরিচ্ছন্নতা।
হাসপাতালগুলো কে পরিষ্কার করবে? যে মানুষগুলো সম্মুখযুদ্ধে নেতৃত্ব দেবে তাদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা সবার আগে প্রয়োজন। প্রটেক্টিভ ইকুপমেন্ট বহু দূরের কথা, হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সাবান, ডেটল, হ্যান্ড গ্লাবস, সেনিটাইজার ও অতি দরকারি মাস্কের ব্যবস্থা নেই। যারা ভাবছেন দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জাহান্নামে যাক, কাশি হলেই ভারতে উড়াল দেবেন, জেনে রাখুন, ভারত আপনার সব ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। এই মহামারীতে ভারত আপনাকে গ্রহণ করবে না। বিপদের আগেই তাদের দুয়ার আপনার জন্য বন্ধ। ভেল্লোর সিএমসি নয়, ইতালির মামুন মারুফ নয়, এই মহামারীতেও দুয়ার খুলে রেখেছে আপনার দেশের চিকিৎসক ও নার্স। দেশের প্রতিটি হাসপাতালের সব চিকিৎসাকর্মীদের প্রটেক্টিভ ইকুপমেন্ট, মাস্ক, গ্লাবস, সেনিটাইজারের পর্যাপ্ত যোগান এক্ষুনি নিশ্চিত করুন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :