নইন আবু নাঈম, শরণখোলা প্রতিনিধি: [২] রোববার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন জানতে পেরে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এ অবস্থায় দুই পারের স্কুল, কলেজ, মাদরাসার হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
[৩] সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় ২৫বছর আগে রায়েন্দা খালের ওপর রায়েন্দা ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের সেতুবন্ধন তৈরীতে আরসিসি ঢালাই ও লোহার পিলার-এ্যাঙ্গেল দিয়ে এই ব্রিজটি নির্মান করা হয়। নির্মানের কয়েক বছর পর থেকে পিলার ক্ষয় হয়ে ব্রিজটি নড়বড়ে হয়ে যায়। কিন্তু এপর্যন্ত কোনো মেরামত না করায় ধীরে ধীরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় রোববার দুপুরে ব্রিজটি হঠাৎ একদিকে হেলে পড়ে।
[৪] ব্রিজটি বন্ধ হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ। এখন প্রায় দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে।
[৫] রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান আহমেদ গাজী বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ জীবনের ঝূঁকি নিয়ে চলাচল করায় বহুবার উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এখন পুরোপুরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় আমার স্কুলসহ অন্যান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এখানে দ্রুত আরসিসি সেতু নির্মানের দাবি জানাই।
[৬] রায়েন্দা ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, ব্রিজটি লোহার পিলারগুলো সম্পূর্ণ ক্ষয় হয়ে দক্ষিণ দিকে হেলে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ব্রিজের দুই মাথা আটকে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে প্রাথমিকভাবে একটি ইঞ্জিন চালিক নৌকা বিনামূল্যে পারাপারের জন্য রাখা হয়েছে। পাকা সেতু নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলে জানানো হবে।
[৭] শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ব্রিজটি হেল পড়ার খবর পেয়েই চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এখানে যাতে দ্রুত সেতু নির্মান হয় সে ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন সমন্বয় সভায় রেজ্যুলেশন করে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। সম্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী