তোফাজ্জল লিটন : নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে সোনা চান্দি জুয়েলার্স-এর সামনে সেই দোকানের মালিক দিলীপ মালানী কর্তৃক নারী কর্মীদের শারীরিক, মানসিক, অশ্লীল ব্যবহার,যৌন হয়রানি এবং ন্যায্য বেতন না দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়েছে। বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্তত ৫০ ভুক্ত ভোগী নারী বিক্রয় কর্মী এতে অংশগ্রহণ করে।
রবিবার দুপুরে জ্যাকসন হাইটস ৭৪ স্ট্রীট সোনা চান্দি জুয়েলারীর সামনে ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে একটি মিছিল ৩৭ এভিনিউ হয়ে ডাইভার্সিটিতে গিয়ে শেষ হয়।
ভুক্তভোগী বাংলাদেশি নার্গিস সুলতানা বলেন, আমার ওয়ার্ক পার্মিট না থাকায় ঘন্টায় মাত্র ৩/৪ ডলার বেতন দেওয়া হয়। সপ্তাহে ৭ দিনই ১২ ঘন্টা করে কাজ করতে হয়। চিকিৎসা ও থেরাপীর জন্য সপ্তাহে মাত্র ১ ঘন্টা ছুটি চেয়েছি মালিক সেটাও দেয় নি। নিচতলা থেকে ৩ তলা পর্যন্ত প্রতিদিন বহু ভারী বক্স উঠা নামা করতে হয়। মেয়েদের শরীর নিয়ে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় কথা বলে মালিক। সোনা চান্দির মালিক দিলীপ মালানী তার অফিসে নিয়ে যৌন হয়রানি করতে চায়।
দুঃখ প্রকাশ করে নার্গিস আরো বলেন শুধু তাই নয়। তার বাসা বাড়িতে গিয়ে তার অসুস্থ মায়ের সেবা ও ঝিয়ের কাজ করাতে বাধ্য করে। এর জন্য কোন অতিরিক্ত বেতন দেয়া হয় না। প্রতিবাদ করলে চলে শাররীক ও মানসিক নির্যাতন। আমাকে এমন আরো অনেক মেয়ে জানিয়েছে যারা দিলীপ মালানীর শারীরিক, মানসিক ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। কাজ, সম্মান ও হয়রানির ভয়ে কেউ মুখ খুলে না।
ভারতীয় ভুক্তভোগী বিক্রয় কর্মী সুপ্রিয়া গাঙ্গুলী বলেন, ইন্ডিয়ান,পাকিস্তানী,বাংলাদেশিসহ সকল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে অভিবাসী ও যাদের কাগজপত্র নেই সেইসব নারীদের নাম মূল্যে বেতন ও বিভিন্ন হয়রানি করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাড়িয়ে দেয়। এরপর অন্য কোন মালিক তাদের কার কাজ দেয় না।