লাইজুল ইসলাম : [২] বিআইডাব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার (৩ মার্চ) যেখান থেকে উচ্ছেদ অভিযান শেষ করা হয়েছিলো সেখান থেকেই আবার শুরু হয়েছে। নদীর দখলকৃত জমি উদ্ধারে দৃষ্যমান কাজ চলছে।
[৩] আরিফ উদ্দিন আরো বলেন, হইকোর্টের রায় অনুযায়ী আমরা উচ্ছেদ অভিযান করেছি। এতে কারো কোনো বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। নদীর জায়গা আর কাউকে দখলে রাখতে দেয়া হবে।
[৪] তিনি বলেন, আসলামুল হক ঘটনা স্থলে আসাকে বাধা মনে করছি না। আমরা আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক এসেছি। আমরা কোনো অবৈধ কাজ করছি না। তাই আসা করি কেউ এটাকে বন্ধ করতে পারবে না।
[৫] মাইশা পাওয়ার প্লান্টে বুধবার (৪ মার্চ) সকাল থেকে অভিযান চলছে। ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হকের এই বিদ্যুৎ প্লান্টটি। তিনি মঙ্গলবারেরমত বুধবারও দাবি করেন, কোনো ধরনের নিয়মের তোয়াক্কা না করে অভিযান চালাচ্ছে বিআইডাব্লিউটিএ।
[৬] আসলামুল হক বলেন, অনাপত্তিপত্র রয়েছে নৌ-মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু কর্মকর্তারা কথা শুনতেই রাজি নান। প্লান্টটি সরকারের অগ্রাধীকার ভিত্তিক। এই পাওয়ার প্লান্টটি কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন (কেপিআই)। গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনা ভাঙ্গার আগে অন্তত সংশ্লীষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো প্রয়োজন ছিলো।
[৭] মাইশা পাওয়ার প্লান্টের মালিক বলেন, হাইকোর্টের আদেশ মানতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এই কারণে স্থাপনা ভাংচুর, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সরবরাহকৃত তেলের পাইপ গুড়িয়ে দেয়া ঠিক হয়নি। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে আমরা একটা পারমানেন্ট সমাধান চাই। নদীর জমী যতটুকু তা নিয়ে যাক। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান হোকা।
[৮] বিআইডাব্লিউটিএ’র সার্ভেয়ার জানান, নদীর অনেকখানি জায়গা দখল করা হয়েছে বিদ্যুৎ প্লান্টের নামে। নদীর মূল নকসা অনুযায়ী উচ্ছেদ চলছে। নির্দিষ্ট স্থানে এসে সীমানা পিলার দেওয়া হবে।
[৯] ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান বলেন, নিয়মের মধ্যে থেকে উচ্ছেদ চলছে। সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো স্থাপনা সরিয়ে ফেলতে। কিন্তু সেটা করা হয়নি। তাই আমরাই ভেঙ্গে ফেলছি।
[১০] বুধবার সকাল ১০টার পরে কেরানীগঞ্জের চরওয়াশপুর এলাকায় অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ।
আপনার মতামত লিখুন :